মিরসরাইয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় শিশু ও শিক্ষক নিহত

মিরসরাইয়ে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিশু ও একজন শিক্ষকের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের শরিয়তপাড়া এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর রোডে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় জুবায়েদ হোসেন (৬) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। অপরদিকে রবিবার ভোর ৬ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট বাজার এলাকায় বাসায় ফেরার পথে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সোহেল রানা (২৪) নামে বেসরকারি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নিহত হয়েছে।

নিহত শিশু জুবায়েদ হোসেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জালাল আহাম্মেদ বাড়ির রাসেল হোসেনের পুত্র। জুবায়েদ শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় বাসিন্দা আহম্মেদ জনি বলেন, রোববার বিকালে জুবায়েদসহ তার সহপাঠীরা মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর রোডের পাশে খেলা করছিল। এসময় তিনটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। জুবায়েদ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। এসময় একটি মোটরসাইকেল জুবায়েদকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা মোটরসাইকেলটি আটক করে। প্রায়ই অতিরিক্ত গতির কারণে এখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহত জুবায়েদের পরিবারের লিখিত আবেদনে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপর ঘটনায় নিহত শিক্ষক সোহেল রানা নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নয়নপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার ছেলে। বাবার কাজের সূত্রে তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা এলাকায় থাকতেন। ওই এলাকার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।

সোহেল রানার বাবা সোহাগ মিয়া জানান, আমার ছেলে কুমিরা এলাকায় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করতো। শুক্রবার রাত ১০ টায় ছেলের সাথে শেষ বার কথা হয় আমার। তখন আমাকে জানিয়েছিল সকালে কুমিরার বাসায় আসবে। বাসায় ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সরকার বলেন, রবিবার ভোরে বারইয়ারহাট বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সম্ভবত বাসে উঠার জন্য অপেক্ষা করার সময় পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান সোহেল রানাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন