দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দোহাজারী মডেল খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজ

সুস্থ মন ও শরীরের জন্য ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নেই। শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং যুব সমাজকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষায় দরকার খেলাধুলা। আর খেলাধুলার জন্য দরকার পর্যাপ্ত খেলার মাঠ। খেলোয়াড় তৈরির উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত দোহাজারী পৌরসভায় ক্রীড়া চর্চা ব্যাহত হচ্ছে মাঠ সংকটের কারনে। খেলাধুলার সুযোগের অভাবে ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় জাতীয় ফুটবল লীগে দোহাজারীর অনেক স্বনামধন্য ফুটবলার অবদান রেখে চলছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় আসকর খান বাবুর জন্ম দোহাজারীতে। ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রে দীর্ঘদিন খেলা জাতীয় ফুটবলার শওকত খান ও শিমুল খানের অধিনে দোহাজারী আবাহনী ফুটবল একাডেমির ক্ষুদে খেলোয়াড়েরা নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছেন না মাঠ সংকটের কারনে। অবশেষে মাঠ সংকট কেটে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পৌরসভা/ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল মৌজায় প্রায় এক একর জমির ওপর মডেল খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দোহাজারী পৌরসভার তত্বাবধানে দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাঠ সংস্কারের প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার কাজ চলমান রয়েছে।

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে দিয়াকুল তপোবন আশ্রম সংলগ্ন মাঠে গিয়ে কথা হয় খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, বালু এবং মাটির মিশ্রণে মাঠটিকে প্রায় তিন ফিট উঁচু করা হচ্ছে। এরপর পানি দেয়া হবে, ঘাস গজালে মাঠ খেলার উপযোগী হয়ে যাবে। পরে মাঠের দুই প্রান্তে গোলপোস্ট স্থাপন করা হবে।

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মাহমুদা বেগম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নে মডেল খেলার মাঠ হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দোহাজারী পৌরসভার তত্বাবধানে পৌরসভার দিয়াকুল মৌজায় প্রায় এক একর জমির ওপর খেলার মাঠ উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা হবে। খেলার মাঠের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে দোহাজারী পৌরসভার শিশু-কিশোর ও যুব সমাজ এই খেলার মাঠে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে। ক্রীড়া চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে এই মাঠ। ধাপে ধাপে এখানে পৌরসভা স্পোর্টস ও কালচারাল সেন্টার নির্মাণ হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন