বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন ড. জমির উদ্দিন সিকদার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) এডহক কমিটির দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় সভাপতি মনোনীত হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি ড.জমির উদ্দিন সিকদার। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এ এডহক কমিটির মেয়াদ ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ইংরেজী হতে আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে সংবিধান সংবিধি-২০১৯ এর ৭ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভাইস চ্যান্সেলর এ মনোনয়ন যে কোনো সময় প্রত্যাহারের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এর আগে তিনি ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ওই কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি হিসেবে নির্বিচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সফলতার সাথে কলেজের উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি।

গভর্নিং বডিতে সভাপতি-সদস্য সচিব ছাড়া মোট ৪ জন সদস্য থাকবেন। পদাধিকার বলে কলেজ অধ্যক্ষ হবেন সদস্য সচিব। তাছাড়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতার মধ্য থেকে একজন সদস্য হবেন, যিনি সভাপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন। বাকি আরেকজন সদস্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবেন।

এ বিষয়ে ড. জমির উদ্দিন জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত সংক্রান্ত বিষয়টি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। গত মেয়াদে আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কলেজের জরাজীর্ণ অবকাঠামোতে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন করেছি। আমি আসার আগে এখানে কলেজে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়তো, শিক্ষার্থীদের বেঞ্চ সংকট ছিল, দরজা-জানালা ভাঙ্গা ছিল। অকেজো ছিল অধিকাংশ বৈদ্যুতিক পাকা। আমি আসার পর ৪শ জোড়া বেঞ্চের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কেন্দ্রভিত্তিক পরিক্ষাচালাকালিন সময়ে এখ কোন বেঞ্চ অন্য কলেজ থেকে আনা লাগে না। এ কলেজে ৫১ বছরের ইতিহাসে বধ্যভূমি নির্মাণের কাজ আমার সহযোগীতায় সম্পন্ন হয়েছে, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কলেজের প্রধান গেইটের নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। কলেজের মসজিদের সংস্কার সহ যাবতীয় কর্মকান্ডে আমি হাত দিয়েছি। আশা করছি বাঁশখালীতে একটি মডেল কলেজ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

এদিকে, ড.জমির উদ্দিন সিকদারকে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করায় কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন ধন্যবাদ জানান।