সিরিজের শেষ ম্যাচ মানেই যেনো রিশাভ পান্তের রুদ্রমূর্তি ধারণ। ক্যারিয়ারের প্রথম চারটি সেঞ্চুরিই তিনি হাঁকান সিরিজের শেষ ম্যাচে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচেও হাঁকালেন সেঞ্চুরি। তাও রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে।
দলীয় ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে ছিল ভারত। সেখান থেকে রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে মাত্র ২৩৯ বলে ২২২ রানের জুটি গড়েছেন পান্ত। আউট হওয়ার আগে মাত্র ১১১ বলে ১৯ চার ও ৪টি ছয়ের মারে খেলেছেন ১৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
এই ইনিংসের সুবাদে পান্ত দলকে যেমন পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদ স্থানে, তেমনি ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। ইনিংসের প্রথম ছক্কার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছক্কার সেঞ্চুরি পূরণ হয়েছে পান্তের। ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে ছক্কার সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
এতোদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বরখ্যাত শচিন টেন্ডুলকারের দখলে। তিনি ঠিক ২৫ বছর বয়সে হাঁকান ১০০টি ছক্কা। সেই রেকর্ড নিজের করে নিয়ে ২৪ বছর ২৭১ দিন বয়সে ১০৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলেছেন তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটার পান্ত।
এছাড়া সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার মহেন্দ্র সিং ধোনিরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পান্ত। ইনিংসটি খেলার পথে ৮৯ বলে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন পান্ত। এর আগে রেকর্ডটি ছিল ধোনির দখলে, ৯৩ বলে।
সেঞ্চুরি পেরিয়েও থামার নাম ছিল না পান্তের। পরের ২১ বলে আরও চারটি চার ও তিনটি ছয়ের মারে করে ফেলেন ৪৬ রান। মনে হচ্ছিল, দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি হয়তো করেই ফেলবেন পান্ত। কিন্তু তখনই ইংল্যান্ডকে ব্রেক থ্রু এনে দেন জো রুট।
ছন্দ ধরে রেখে মারমুখী শট খেলতে গিয়ে রুটের বলে স্লিপে ধরা পড়েন পান্ত। আউট হওয়ার আগে ১৯ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ১১১ বলে করেন ১৪৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত ১০০ বল মোকাবিলা করা ইনিংসে তার চেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটের ইনিংস রয়েছে মাত্র তিনটি।
দলীয় ৩২০ রানে পান্তের বিদায়ে ভাঙে ২২২ রানের জুটি। যা কি না টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ উইকেটে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ। এছাড়া ১০০ রানের আগে পাঁচ উইকেট পড়ার পর যুগ্মভাবে ভারতের সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট জুটির রেকর্ড এটি।