সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শ্রীশ্রী রক্ষা কালী বাড়ীতে রক্ষাকালী মায়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী মহতী ধর্মসভা ও ২০তম অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর,২০২২) শুরু হয়েছে।
২২ ডিসেম্বর মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গীতাপাঠ, রক্ষাকালী মায়ের বিশেষ পূজা ও ভোগারতি। গীতাপাঠ করেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট গীতাপাঠক অলক দেবনাথ। বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় মহতী ধর্মসভা। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন চট্টগ্রাম কৈবল্যধামের পূজনীয় মোহন্ত শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য মহারাজ।
ধর্মসভায় আশির্বাদক ছিলেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের পূজনীয় অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শক্তিনাথানন্দজী মহারাজ। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের পূজনীয় অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। রক্ষা কালী বাড়ি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রনজিত দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ সন্তোষানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ ও শ্রীমৎ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার চৌধুরী।
ধর্মসভা শেষে রাত ৮টায় কীর্তনীয়া দল শ্রী রক্ষা কালী বাড়ি সম্প্রদায় (বাড়বকুণ্ড) মহোৎসবের অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করবে। এসময় গৌর-নিতাইসহ পঞ্চতত্ত্ব আহবান এবং মোহন্ত বন্দনা অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ ডিসেম্বর,২০২২ (শুক্রবার) ব্রহ্মমূহূর্ত থেকে চলবে অষ্টপ্রহর ব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ। এতে নামসুধা বিতরণ করবেন কীর্তনীয়া দল অচ্যুতানন্দ সম্প্রদায় (চকরিয়া), ব্রজের মাধুরী সম্প্রদায় (পিরোজপুর), প্রভু প্রিয়া সম্প্রদায় (গোপালগঞ্জ) এবং প্রভু নিত্যানন্দ সম্প্রদায় (ভোলা)। গীতাপাঠ, ধর্মসভা, অধিবাস ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের দুইদিন দুপুর ও রাতে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ ও অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। ২৪ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। এ ধর্মসভা ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞের প্রতিটি পর্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভক্তবৃন্দকে সপরিজন ও সবান্ধবে উপস্থিত থাকার জন্য মন্দির পরিচালনা পরিষদের কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ দাশ, মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি লিটন দাশ, কার্যকরি সভাপতি তমাল দাশ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেন্টু দাশ, সহ-সভাপতি সুমন দাশ ও হিল্লোল সাহা, প্রধান সমন্বয়ক বিজয় দেব, সাধারণ সম্পাদক রবিন সাহা, অর্থ সম্পাদক রিপন দাশ, যুগ্ম-সম্পাদক সজিব দাশ, জুয়েল দাশ, নিজ্জ্বল সাহা ও বাবলু দেব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দাশ অনুরোধ জানিয়েছেন।