প্রবাস স্কিম : প্রবাসীদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা

জি. এম সাইফুল ইসলাম :: দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর অলস সময়ে সবাই যখন আধো ঘুম আধো জাগ্রত অবস্থায় ঝিমুচ্ছে তখনই জসিম আর আলতাফের বউ এর মধ্যে হয়ে গেল একছোঁট । সে কি ঝগড়া! ঝা’দের মধ্যকার ঝগড়া যারা দেখেনি তাদের সেটা বলে বুঝানো যাবেনা। উত্তেজনার অতিশায্যে কে যে কাকে কী বলে বসে, সে খেয়াল থাকেনা কারোরই। যা মুখে আসে তাই উগরে দেয়। শুশুর শাশুড়ি ননদ দেবর ভাসুর কেউ বাদ যায় না সেই কান ঝালাপালা সঙ্গীতের লিরিক থেকে। একে অন্যকে জিহ্বার চাবুকে তুলোধুনো করে ছাড়ে।

সহ্য করতে না পেরে বড় ভাই জসিম বের হয় ঘর থেকে। সদ্য বিদেশ থেকে এসেছে সে। সপ্তাহখানেক হবে। এখনো মরুভূমির বালির ছাপ যায়নি শরীর থেকে। দেশের আবহাওয়ার সাথে ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত। ছোট ভাই আলতাফ সরকারি অফিসের কেরানি। অফিস আর বাড়ি, বাড়ি আর অফিস-এ তার নিত্য জীবন।

আলতাফের বউয়ের বড় দেমাগ তার স্বামীর চাকরি আর চাকরি সমাপান্তে পেনশন প্রাপ্তি নিয়ে। তার চিন্তার বেশি কারন নেই। স্বামী পেনশন পাবে, স্বামী মারা গেলে সে নিজেতো আছেই। সে পেনশন পাবে। আর্থিক একটা হিল্লা থাকায় টেনশনমুক্ত তার প্রাত্যহিক জীবন। অন্যদিকে জসিমের বউয়ের দুশ্চিন্তার কারনও সেটাই। বয়সকালে তার স্বামী যখন প্রবাস থেকে একেবারে বাড়ী ফিরে আসবে তখন কিভাবে চলবে তাদের জীবন। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা, ডাক্তার বদ্যি ওষুধ খরচসহ যাবতীয় হ্যাপা কিভাবে আয়বিহীন জীবনে সামলাবে তা-ই নিয়ে তার নিত্য ঘুম হারাম। তাই ঝগড়া লাগলে অবধারিতভাব চলে আসে সে বিষয়টি। তার স্বামীর সহায়তায় আলতাফের পড়াশুনা ও সরকারি চাকরি প্রাপ্তি, অথচ সে কিনা অনিশ্চিত জীবনে ভাসছে। এতবড় অবিচার কি মেনে নেওয়া যায়?

বিষয়টা জসিমকেও ভাবায়। অনাগত দিনের আর্থিক নিরাপত্তা ও আয় নিয়ে সে কতদিন কতকিছু যে ভেবে ফেলেছে তার ইয়ত্তা নেই। কেননা অনেক বছর প্রবাসে কাটালেও সঞ্চয় তেমন আছে-বলা যাবেনা। বোনদের বিয়ে শাদী, পড়ালেখা, বসতঘর নির্মাণসহ নানাকাজে সংসারে সে অনেক খরচ করেছে।

একদিন এ বিষয়ে সে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলে। ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ তোলে, বু্দ্ধি চায়।

আলতাফ সব শুনে মুচকি হাসে।কেননা সরকারের সর্বজনিন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সে জানে। সে জানে প্রবাসীসহ নানা শ্রেনি পেশার মানুষের জন্য সরকার পেনশন স্কিম চালু করেছে। এখন পেনশন পেতে আর সরকারি চাকরি লাগবেনা। সরকার প্রবর্তিত এসব স্কিমের যেকোনটি গ্রহণ করে যেকেউ ভবিষ্যতে আর্থিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেতে পারে। যাপন করতে পারবে টেনশনমুক্ত নিরাপদ জীবন। তারপর বড় ভাইকে সে সব খুলে বলে। আলতাফ বলে, শুনেন ভাইজান, সরকার আপনাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে। বাকিটা আমরা শুনবো আলতাফের জবানীতে-

বৈষম্যহীন সামাজিক কাঠামোয় সকল নাগরিকের বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়নে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি ২০০৮ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন করার বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করাসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ প্রণীত হয় যার অধীনে প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী জনকল্যাণমূখী পদক্ষেপ, যা সকল নাগরিকের অবসরকালীন আর্থিক মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আলতাফ বলে, বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২% কর্মক্ষম যার একজন আপনিও। ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭% যারা মূলতঃ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠির উপর নির্ভরশীল। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ২৫% এ উন্নীত হবে। একই সাথে গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে নির্ভরশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিধায় একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবে। সেলক্ষ্যে সরকার দেশের ১০ কোটি নাগরিককে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছ। আপনার মতো প্রবাসীরা এর মধ্যে রয়েছেন। এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে আমাদের বয়স্ক জনসাধারণের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।

এতে আমরা কিভাবে অন্তর্ভূক্ত হবো -বড়ভাইএর এ প্রশ্নের জবাবে আলতাফ বলে সম্পূর্ণ আইটি প্লাটফর্মে সর্বজনীন পেনশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটির উন্নয়ন করা হয়েছে। যে কোন ব্যক্তি www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সহজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পাদন এবং অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সাবস্ক্রাইবারকে upension সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ইউনিক পেনশন আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে লগইন করে একজন সাবস্ক্রাইবার তার পেনশন (কর্পাস) হিসাবে জমার পরিমাণ, প্রাপ্ত লভ্যাংশ ইত্যাদি সরাসরি দেখতে পারেন। আইটি জ্ঞান সীমিত বা আইটি এক্সেস নেই এমন কোন ব্যক্তিও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইন্টারনেট ক্যাফে কিংবা অন্য কারও সহায়তায় নিবন্ধন সম্পাদন করতে পারেন। যদি কারো অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা না থাকে তবে সে সোনালী বা অগ্রণী ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চের কাউন্টারে গিয়ে সহজেই টাকা জমা প্রদান করতে পারেন। ভবিষ্যতে ব্যাংকের আওতা বাড়িয়ে এ সেবা আরো সহজতর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে আলতাফ জানায় ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৬,৬০০ জন নিবন্ধন করেছেন, যার বিপরীতে ১৯ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এসব স্কিমের যেসকল উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য/সুফল রয়েছে তা হলোঃ

  • সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বৎসর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বৎসর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বৎসরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী কর্মীগণও এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
  • পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি ৭৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন।
  • চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বৎসর চাঁদা প্রদান করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে।
  • চাঁদাদাতা তার জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে উত্তোলন করতে পারবে।
  • পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
  • নিম্ন আয়সীমার নিচে থাকা নাগরিকগণের অথবা অস্বচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসাবে প্রদান করবে।
  • সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদার হার এবং স্কিম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
  • নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি প্রদান করা হবে।
  • মোবাইল নম্বর ও প্রবাসীদের ইমেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার ও এবং মাসিক চাঁদা প্রদানের তারিখ অবহিত করা হবে।
  • পেনশনারদের প্রদত্ত চাঁদার টাকা বিনিয়োগ বিধিমালার আওতায় সর্বোচ্চ নিরাপদ ও লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য রিটার্ণের ভিত্তিতে পেনশনের মাসিক পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
  • সোনালি ব্যাংকের প্রতিটি শাখা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সম্মুখ অফিস হিসেবে কাজ করছে।
  • পেনশন ও চাঁদার হার যেকোন সময় পরিবর্তন করা যাবে। তবে পেনশনার আইডি অপরিবর্তিত থাকবে।
  • পেনশনের টাকা তোলার জন্য কোন অফিসে যেতে হবেনা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন জমা হবে।

আমরা প্রবাসীরা কোন স্কিমে যাবো – জানতে চাওয়ায় আলতাফ বলে, সরকার মোট চারটি স্কিম চালু করেছে। এগুলো হচ্ছে প্রবাস, প্রগতি সুরক্ষা ও সমতা স্কিম। আপনি যেহেতু প্রবাসী তাই আপনি প্রবাস স্কিমের আওতাভূক্ত হবেন। এ স্কিমের পদ্ধতি ও উপকারিতা হলো বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাসহ প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন। এই স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ২০০০/-, ৫০০০/-, ৭৫০০/- এবং ১০০০০/- টাকা। যে ব্যক্তি যত টাকা ভবিষ্যতে পেনশন পেতে চায়, সে অনুযায়ী চাঁদার হার নির্ধারিত হবে। চাঁদার হার ও পেনশন টেবিল নির্দিষ্ট করা আছে। এ টেবিল মোতাবেক কারয্ক্রম পরিচালিত হবে। এ স্কিমে ১০-৪২ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে। মাসিক ১ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে নির্দিষ্ট বছর পরে সর্বনিম্ম ৩০৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ৬৮,৯৩১ টাকা, মাসিক ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে সর্বনিম্ম ৭,৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ১,৭২,৩২৭ টাকা, মাসিক ৭হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা দিয়ে সর্বনিম্ম ১১,৪৭৭ টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ২,৫৮,৪৯১ টাকা এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে সর্বনিম্ম ১৫,৩০২ থেকে সর্বোচ্চ ৩,৪৪,৬৫৫ টাকা হারে মাসিক পেনশন প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশীগণ দেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের সদস্যদের (বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী বা স্ত্রী) নামেও পেনশন স্কিম (সুরক্ষা) চালু করতে এবং মাসিক জমা পরিশোধ করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাসহ প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন । এছাড়াও, প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ”সুরক্ষা” স্কিমে তাঁর পরিবারের ১৮ বা তদূর্ধ্ব এক বা একাধিক সদস্যের (যেমন স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, বোনের) জন্যও আবেদন করে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তিনি যার জন্য পেনশনার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবেন তাঁর এনআইডি, ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং নমিনির তথ্য প্রদানপূর্বক নিবন্ধন করবেন ।

প্রবাস স্কিমের এসকল সুযোগ সুবিধার কথা শুনে জসিমতো মহাখুশি। দৌড়ে ঘরে গিয়ে বউকে বিষয়টা জানায়। বৌ ইতোমধ্যে কানপেতে দেবরের বলা অনেক কথা শুনে নিয়েছে। সব শুনে সেও খুশি। স্বামীকে কড়া নির্দেশের সুরে বললো, কালই আলতাফের সাথে গিয়ে প্রবাস স্কিমে নিবন্ধন করে আসবে। অনাগত জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার আশায় জসিমও সায় দিয়ে হাঁ সূচক মাথা নাড়ে। (পিআইডি ফিচার)

লেখক : জি. এম সাইফুল ইসলাম, তথ্য অফিসার, পিআইডি, চট্টগ্রাম।