আন্দোলন সংগ্রামে অনন্য নেতৃত্ব আসলাম চৌধুরী

জুলফিকার আলী সোহেল:: সত্যি বলছি, আসলাম চৌধুরী হচ্ছে চট্টগ্রামের প্রাণ পুরুষ। আসলেই উনি একজন আপোষহীন নেতা। উনি যদি সরকারের সাথে আঁতাত করতেন, তাহলে এতদিন জেলে থাকতেন না। উনার আপন দুই ভাই মারা গেলো,অথচ উনি একপলক দেখতে পাননি, এটার চেয়ে পৃথিবীতে আর কষ্ট কি আছে !?

আসলাম চৌধুরী বৈষম্যমূলক আইনের শিকার। আসলে এটা কাম্য নয়, উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে গ্রেফতার করেছিলো, সেই মামলা থেকে উনি ৬মাসের মধ্যেই জামিন পেয়েছিলেন। অথচ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের একই আইন দুইভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। বিরোধী দলের জন্য এক আইন, সরকারি দলের জন্য আরেক আইন। সরকারি দলের লোকজন যতবড়ই অপরাধ করুক না কেন, আইন তাদের জন্য শিথিল। অপরদিকে কোনো অপরাধ না করেই বিরোধী দলের লোকজনকে আইনের হাতকড়া পরানো হচ্ছে। আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলায় সাজা হয় নি। অথচ সাজার চেয়েও তিনি বেশি সময় কারাগারে আছেন। ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মতোই কারাবন্দী আছেন। অথচ সাজাতো’ দূরের কথা উল্টো সবমামলাতেই তিনি জামিন পেয়েছেন। বের হতে গেলে নতুন নতুন মামলা দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। যদি সাজাও হতো, তাহলেও তো তাকে এতদিন কারাগারে থাকতে হতো না। বাংলাদেশে আইনের শাসনের নামে যে অপশাসন চলছে আসলাম চৌধুরী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটা সরকারের প্রতিহিংসার প্রকৃত উদাহরণ। এজন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।

২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের বিপরীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডে সফলভাবে ৫ বছর ক্ষমতা সম্পন্ন করতে পারার আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাজপথ তার দখলে নিয়েছেন। এরপর ২০১৪ সাল থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলন সংগ্রামে যে সাহসী ও সময়োচিত-বীরোচিত ত্যাগ তিনি করে গেছেন, তার জন্যই তিনি সরকার তথা আওয়ামী লীগের চক্ষশুলে পরিণত হয়েছেন। আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তিনি তা দেখিয়ে দিয়ে দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি’র অনুকরণীয় নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন।
আদর্শিক চেতনায় ভাস্বর, মানবিক, সাহসী ও আপোষহীণ এ নেতার পদচারণায় আবারও রাজপথ মুখরিত হবে, সে প্রত্যাশা তৃণমূলের। চলমান আন্দোলন সংগ্রামে তার শূণ্যতা অপূরণীয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে, নিজে নেতৃত্বে থেকে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন। যে রাজপথ তাকে মিস করে, সে রাজপথ আবারও উত্থাল হবে তার গগনবিদারী শ্লোগানে, সেটাই চাওয়া।

লেখক : জুলফিকার আলী সোহেল, সাবেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল।

আরও পড়ুন