অফিস সহায়কের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা-সম্পদ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

আমি নিন্মস্বাক্ষরকারী মোঃ রায়হান উদ্দিন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছি। ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩ইং, মঙ্গলবার “দৈনিক শেয়ার বিজ“ নামক একটি পত্রিকার প্রিন্ট এডিশনের প্রথম পাতায় এবং একই পত্রিকার অনলাইন ভার্সনেও “অফিস সহায়কের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা-সম্পদ“ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং সংবাদে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে পেশাগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি অসাধু ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছি। অথচ এরকম কোনো সিন্ডিকেটের সাথে আমার ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই। তাছাড়া এটা কাস্টম হাউসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সম্ভবও না। প্রতিবেদনে ঢালাওভাবে এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, জায়গা কেনা, বাড়ি করার মতো যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার চাকরীকালীন সময়ে এ পর্যন্ত আমার নামে কোনো অভিযোগ কোথাও কেউ উত্থাপন করেনি। কোনো ব্যবসায়ী বা সিএন্ডএফ এজেন্ট থেকেও কোথাও কোন অভিযোগ করা হয়নি। এমতাবস্থায় প্রতিবেদক মনগড়াভাবে এসব অভিযোগ কোত্থেকে পেলেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমার নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে কিন্তু কোথায় কার কাছ থেকে কত টাকা ঘুষ নিয়েছি তা প্রতিবেদনে না থাকায় প্রতিবেদনটি সর্বৈব মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। গত বছর মদ সিগারেট জব্দের ঘটনায় আমার যে সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ আমি সেসব সেকশনে কখনও কাজ করিনি বা আমার পদায়ন হয়নি।

প্রতিবেদনে আমার নামে নানা ব্যাংকে একাউন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র এবং দুটি ফ্ল্যাট ক্রয় করার কথা বলা হয়েছে। অথচ ঐসব ব্যাংকে আমার কোনো একাউন্ট নেই, সঞ্চয়পত্র কি জিনিস সেটা আমি জানিও না। আর ২০২১/২২ সালে আমি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শুধু চট্টগ্রাম শহর নয়, কোথাও আমার কোনো ফ্ল্যাট নেই। আমার বাবা চাকরীজীবী ছিলেন পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করতেন। পারিবারিকসূত্রে পাওয়া সম্পদ ও বাড়ী ছাড়া আমার কোথাও নিজের কেনা বা পরিবারের সদস্যদের নামে কেনা ফ্ল্যাট নেই। আমার বাবা চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির এসোসিয়েশন অফিসে হিসাব রক্ষণ কর্মকতা হিসেবে সুদীর্ঘ ২৫ বছর চাকরী করেছেন। ওনি অবসরকালীন সময়ে যে টাকা পেয়েছেন সেটা দিয়ে চার চাচাসহ চারতলা বাড়ী করেছেন যেখানে আমরা এখন বসবাস করি।

মোঃ রায়হান উদ্দিন
অফিস সহায়ক
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

আরও পড়ুন