বে-টার্মিনালের কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কুনহা ডিওয়াই জেবি কর্তৃক নির্মিত “মাস্টার প্ল্যান“ এর ওপর স্টেক হোল্ডার, বন্দর ব্যবহারকারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বন্দর সচিব ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। সভার শুরুতে প্রকল্পের ভিজ্যুয়াল ভিউ উপস্থাপন করেন কুনহা ডিওয়াই জেবি কর্তৃকপক্ষ।

সভায় জানানো হয়, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সাথে বাংলাদেশের জন্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ বিস্তৃত হচ্ছে। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর এ কারণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন এবং ২০৪৩ সালের মধ্যে প্রায় ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন কনটেইনার পরিচালনা করতে হবে। ফলে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে, যার অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে ভাবা হচ্ছে।

এতে আরও জানানো হয়, বন্দরগুলোকে সংস্কার করে, দ্রুত বিকল্প বন্দর সুবিধা সম্প্রসারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা অনুমেয়। বে-টার্মিনাল প্রকল্পটি ভবিষ্যতের চাহিদা, সাইটের সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সম্প্রসারণ ক্ষমতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ অন্তর্ভূক্ত থাকবে। তিনটি টার্মিনালের মধ্যে একটি বন্দরের নিজস্ব খরচে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পের অবশিষ্ট দুটি টার্মিনাল দক্ষ ও অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের অর্থায়নে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে।

সভায় বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে পর্যাপ্ত খাল খনন, সড়ক সম্প্রসারণ, ট্রাফিকিং আধুনিকায়ন, রিঙ্ক রোড সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, সিএফএস ওয়্যারহাউজ নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন। প্রতি উত্তররে বন্দর কর্তৃপক্ষ সববিষয় মাথায় নিয়ে আগামী জানুয়ারী/ফেব্রুয়ারী নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধি, বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন