সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপহার : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। তারা দেশকে ভিন্নপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে এখন পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় মোকাবিলায় শিক্ষাক্ষেত্রকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকার। বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে এটাই আজকের বাস্তবতা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) আয়োজিত “ভিশন-২০৪১ এর আলোকে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং এবং লজিস্টিক সেক্টরের দক্ষতা উন্নয়ন’ ইন্ড্রাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া কালাবোরেশন” শীর্ষক কোর্সের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ কথা আমার নয়। যারা দেশের অর্থনীতি,রাজনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছে তারা বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার কারনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন দেশে মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন মানবাধিকার কি? আমি নিজের চোখে দেখেছি একসময় উত্তর বঙ্গের মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। তাদের সময়ে দেশের ছাত্র শিক্ষক এবং ব্যবসায়িরা নানাভাবে লাঞ্চিত হয়েছিল। আমি আপনাদের কত হিসাব দিবো? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভূমি অধিকার নিশ্চিত করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা করা। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিত ভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন যেন দেশের সকল সেক্টরকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের নাম উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের খাতায় লিখাতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাফা সভাপতি কবির আহমেদের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়াম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বাফার সিনিয়র সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আসিফ এ চৌধুরী, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ইস্ট ডেল্টা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খান, জিএমইএ সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম আকতার হোসেন, ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটির চিফ অব পার্টি মার্ক শাইম্যান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।