সাহস সংগ্রাম মানবিকতা সারল্য বঙ্গবন্ধুর অনন্য গুণ : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতির জীবনে এসেছিলেন আলোক বর্তিকা হয়ে বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে আগস্টের ভয়াবহতা, নৃশংসতা ও শোকের কোন শব্দ ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এই দিনে ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পশী এক হত্যাকাÐের ঘটনায় আমরা হারিয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান শুধু অধিসংবাদিত নেতাই ছিলেন না, ছিলেন বীরত্ব, ত্যাগ, দৃঢ়প্রত্যয়, নেতৃত্বগুণ একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। জাতির পিতার জীবন দর্শন, সততা ও বিচক্ষণতা অনুসরণ করেই তার আদর্শের ধারক ও বাহক হতে পারলেই এগিয়ে যাবে দেশ সমৃদ্ধ হবে জাতি ।

আজ সোমবার সকালে নগরীর নন্দনকানন থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন,আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মোহাম্মদ জাবেদ, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গাজী মো. শফিউল আজম, মো. সাহেদ ইকবাল বাবু, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, মো. নুরুল আমিন, পুলক খাস্তগীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইলা নার্গিস খান, জেসমিন পারভীন জেসি, আঞ্জুমান আরা, শাহীন আকতার রোজী, হুরে আরা বেগম, তসলিমা বেগম (নুরজাহান), জাহেদা বেগম, রুমকী সেনগুপ্ত সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মর্কা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতি. প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

মেয়র আরো বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই স্বাধিনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মধ্যদিয়ে তারা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙ্গে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ঘাতক চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। মেয়র বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হলেও এ হত্যার কুশিলবদের আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্লের সোনার বাংলা আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।

এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল-সকালে কালো ব্যাচ ধারণ,নগর ভবন চত্বরে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ ও বড়পোলস্থ বঙ্গন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ, চসিক সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, টাইগারপাস্থ বিন্ন্যাঘাস প্রকল্প এলকায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে চসিক জেনারেল হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উল্লেখিত কর্মসুচিতে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন