ভোলায় হত্যাকান্ডের জন্য বিএনপিই দায়ী : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোলায় মিছিল মিটিং করার জন্য বিএনপি পুলিশ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি। তারপরেও পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পুলিশের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি তাদের কর্মীদের পুলিশের দিকে লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি কর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে একজন পুলিশ আহত হয়েছে। এমনকি একজন পুলিশকে বিএনপি অফিসে নিয়ে মারধর করা হয়। নিরুপায় হয়ে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়। একজন নিহত ও পরে আরো একজন নিহত হয়। দেখা যাচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিএনপি ফায়দা লুটতে চায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায়। এ হত্যাকান্ডের দায় তাদের। তাই ভোলার হত্যাকান্ডের জন্য প্রকারান্তরে বিএনপিই দায়ী।

মন্ত্রী বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ভোলার হত্যাকান্ড, হরতাল ও বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তৃতা বিবৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি লাশের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান লাশ ফেলার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। পরবর্তিতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে শত শত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নওজোয়ান ও অফিসার হত্যা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকেও হত্যা করেছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৩-১৪ সালে জ¦ালাও পোড়াও আন্দোলন করে নিরীহ মানুষ পুড়ে অঙ্গার বানিয়েছে। কিন্তু এদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও জনগণ তাদের সুযোগ দেবে না। তিনি বলেন, বিএনপি নাম সর্বস্ব কয়েকটি দলের সাথে রাজনৈতিক সংলাপ করছে। এসব দল সাইনবোর্ড সর্বস্ব। এতে জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক আলোচনায় যেতে অনেকে এ সুযোগে নতুন দল গঠন করছে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

ভোলায় ডাকা হরতাল বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ডাকা হরতালে ঢাকার রাস্তায় গাড়ির জ্যাম লেগে থাকে। হরতাল কার্যকর হয়না। তাই তারা ভোলায় হরতাল ডেকেছে। ঢাকায় বা অন্য জায়গায় ডাকতে সাহস পায় না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র অনেক ঐতিহাসিক। এখান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। কিন্তু আশেপাশের অনেক উঁচু ভবনের কারনে বর্তমানে ১০০ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিশন দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বেশিদুর থেকে শোনা যায় না। তাই এখানকার ট্রান্সমিটার জঙ্গল সলিমপুরে স্থানান্তর করা হবে। এতে করে ট্রান্সমিশন ভাল হবে। ফলে অনেক দুর থেকেও চট্ট্রগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যাবে।

এর আগে মন্ত্রী বেতারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও স্থান পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন