দাম নিয়ে কারসাজি করা যাবেনা : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, যারা তেল, চিনি বা অন্যান্য খাবার আমদানি করে থাকে আমি তাদের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সাথে পরামর্শ করে তেল, চিনি, খেজুর এবং চালের শুল্ক নির্ধারন করেছি এবং আগামী সপ্তাহে রমযান উপলক্ষে একটি যৌক্তিক নিদির্ষ্ট মূল্যতালিকা সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। এরফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা সবার সুবিধা হবে। তবে এ বাজার ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র রমযান কেন্দ্রিক না, সব সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আমি দেশবাসীকে আশ্বস্থ করছি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত আসন্ন পবিত্র রমযান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অবাধ সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান’র সভাপতিত্বে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ.এইচ. এম সফিকুজ্জামান, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ, এফবিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীগণ বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ও পণ্যের মজুদ বিষয়ে প্রধান অতিথিকে ধারনা দেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আমদানি বানিজ্যর মধ্যে এবারে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লক্ষ টন বেশি। তার মানে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে আমদানি হয়েছে এবং বাজারে যথেষ্ট খাবার মজুদ রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ আছে এবং আরো বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা চালু রয়েছে। আমি এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি সেটা হলো কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে আমদানি পণ্য কোন কিছুতেই ঘাটতি নেই তবে বাজার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। আমাদের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে হবে। একক ভাবে কাউকে দায়ী আমি করতে চাই না। যারা ব্যবসা করেন এবং ব্যবসাকে পরিচালনা করেন সবার দায়িত্ব রয়েছে এ বাজার ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা আনা।

তিনি আরো বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রতিবছর তিনি এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। এ ঘোষণাকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। ‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ এ ব্যানারে প্রতিটি গ্রামের মানুষের কাছ থেকে তাদের তৈরি পণ্য উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করে দেশীয় বাজারকে সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করতে হবে।

আরও পড়ুন