সাউন্ড গ্রেনেড শুনেই উধাও বিএনপি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

বিএনপি বলেছিলো ২৮ তারিখ ফাইনাল খেলা। সে দিন তারা পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে এবং সাংবাদিকদের মারা শুরু করেছে, পুলিশ হাসপাতালে ইজরাইলি কায়দায় হামলা চালিয়েছে, এম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে, মা বোনদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছে। পরে পুলিশের গুলিও নয়, শুধু সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শুনে ফখরুল সাহেবসহ সবাই মঞ্চ ছেড়ে পালিয়ে গর্তের ভিতরে ঢুকেছে। এখন তারা গর্তের ভিতরে লুকিয়ে লুকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে গর্তের ভিতর ঢুকেছে তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে সায়েস্থা করা হবে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’ও ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোকসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ডাকাত ডাকাতি করে, চোর চুরি করে কিন্তু মানুষ কিংবা ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয় না। অথচ বিএনপি জামায়াত সেদিন ডেমরায় দাড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত গাড়ির হেল্পারকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি এবং জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীরা এখন জনশত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সে জন্য নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, সরকারি দল হিসেবে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ও বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। তাই জনগণের পাশে থেকে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছে। গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছেন। যেটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সমুদ্রের তলদেশে সড়ক টানেল। গত ১৫ বছরে যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে তা নিয়ে ভারত, পাকিস্তানসহ সাড়া বিশে^ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রসংশার ঝড় উঠেছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিএনপি-জামায়াত তা নিয়ে শঙ্কিত। সেই কারনেই তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যারা আমাদের দেশের উপর থাবা দিতে চায় সেই বিদেশী শক্তির সাথে আপোষ করে দেশকে তাদের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।

শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। এছাড়াও অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন