মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ৩ স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। এসময় আরো একজন আহত হয়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট কমলদহ ইউটার্নে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন মিরসরাই উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে আকিব (১৩), একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে জনি (১৫), ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমাম হোসেন (১৫)।
ইমাম হোসেন নিজামপুর মুসলিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র, জনি সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ও আকিব একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আহতের নাম আরাফাত হোসেন (১৪)। সে মঘাদিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিনের ছেলে ও আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কমলদহ ইউটার্নের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানে দ্রæতগামী মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। এসময় আরো একজন আহত হন। নিহতদের উদ্ধার করে টেরিয়াইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত আরাফাতকে প্রথমে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, নিহত আকিব ও জনি আমার ওয়ার্ডের আহম্মদ ডাক্তার বাড়ির আবুল হাশেম ও আবুল কাশেমের পুত্র। তারা সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা সবসময় একসাথে চলাফেরা করত। শনিবারও সকালে তারা একসাথে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পরে আরো দুই বন্ধুসহ চারজন সীতাকুন্ড যাচ্ছিল। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে থানায় গিয়ে মরদেহগুলো বুঝে নিয়েছি।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। একসাথে তরতাজা তিনটি ছেলে চলে গেল। আমার ইউনিয়নের উত্তর ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমাম ও সাহেরখালী ইউনিয়নের দুই জন মারা গেছে।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে সবাই চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। কমলদহ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অজ্ঞাত কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা গেছে। তাদের সবার মাথায় বেশি আঘাত লেগেছে। নিহত তিনজনের মরদেহ পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর অজ্ঞাত কাভার্ডভ্যানটি পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।