ভাঙচুরের ঘটনায় চবি ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাই মামলার আসামী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পুলিশ বক্স, ভিসির বাসভবন ও ট্রান্সপোর্টে থাকা প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) চবিতে ভাংচুরের পর এক বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.নুরুল আজীম শিকদার বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভাঙচুর কোন সাধারণ শিক্ষার্থী করতে পারেনা। এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয় জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপির ইন্ধন থাকতে পারে।“

এদিকে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ জনকে আসামি করে ১হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। কিন্তু মামলার এজাহারে দেখা যায়, অভিযুক্ত ১৪ জনই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনটি উপ গ্রæপের সক্রিয় সদস, যার অধিকাংশি সিক্সটি নাইনের কর্মী। মামলার এজহার অনুযায়ী উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় আসামিরা হলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূইয়া, পালি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম, পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরের মামলায় আসামিরা হলেন দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন মোঃ সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের অনিক দাশ, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের আজিমুজ্জামান। এদের প্রায় সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর ড.নুরুল আজীম শিকদার মত পাল্টে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাঙচুর করা হয়েছে তা চবির ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। তাই তাৎক্ষণিকভাবে তখন মনে হয়েছিল এ ঘটনার সাথে জামায়াত- বিএনপির ইন্ধন থাকতে পারে। তবে যে বা যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন