নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়, র‌্যাবের হাতে আটক-২

চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসায় নারী দিয়ে ডেকে ফুঁসলিয়ে ডেকে এনে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (৪ জুলাই) নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার একটি ভাড়া থেকে ভুক্তভোগী যুবক মাহবুবকে উদ্ধার এবং মুক্তিপণ বাবদ পাঠানো ২লাখ ৩৬হাজার টাকাও উদ্ধার করে। এসময় পাহাড়তলী থানার ১১নং দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার মো. রাব্বি চৌধুরী প্রকাশ শাওন (২৭) এবং একই এলাকার মৃত তসলিম চৌধুরীর পুত্র মো. কায়সার চৌধুরী (২৬) নামে দু’যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

জানা যায়, নগরীর একটি হোটেলের ম্যানেজার মাহবুব আলমের সাথে রিংকু (২৫) নামের এক তরুণীর সাথে পরিচয় হয়। রেস্টেুরেন্টে আসা যাওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওইদিন মাহবুবকে নিয়ে রিংকু তার ভাই মানিকের বাসায় বেড়াতে যান। কিন্তু সেখানে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় দুই যুবকসহ কয়েকজন প্রবেশ করে মাহবুবকে হেনস্থা ও মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর এশিয়া, সোনালী ও এনআরবি ব্যাংকের ৩টি ডেভিড কার্ডের পিন কোড নম্বরের জন্য মারধর করতে থাকে তাকে। মাহবুব ব্যাংকের পিন কোড নম্বর দিতে গড়িমশি করলে আসামি রাব্বি, কায়সার ও আবদুল তাদের হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং বলে ডেভিড কার্ডের পিন নম্বর লাগবে না, নগদ ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দিলে তাকে ছেড়ে দিবে।

এরপর ভুক্তভোগী মাহবুব তার ভাই আলম এবং বন্ধু মো. আশরাফুজ্জামান শাওনের কাছে মোবাইলে ফোন করে কান্নাকাটি করে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই স্থানে যেতে বলে। টাকা নিয়ে যেতে দেরী হওয়ায় অপহরনকারীরা বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে। মাহবুবের ভাই ও বন্ধু বিকাশে নগদ ৩০ হজার ৬’শ টাকা পাঠায়। এরপর ৫ লাখ টাকা যোগাড় করতে না পেরে দুই লাখ টাকা নিয়েই রওনা দেয় তারা।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব-৭) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ‘টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে মাহবুব তার বড় ভাই আলম এবং বন্ধু শাওন আমাদের বিষয়টি অবগত করে। এরপরই তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের একটি আভিযানিক দল তাদের সাথে বর্ণিত ঠিকানায় যায়। তখন ভুক্তভোগী মাহবুবের বড় ভাই আলম আসামি রাব্বির হাতে টাকার ব্যাগ দিলে সে টাকা গুনতে শুরু করে। ঠিক ওই সময়ে দুই অপহরণকারীকে নগদ দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী মাহবুব এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল, মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আসামিদের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো ৩৬ হাজার টাকা এবং নগদ দেয়া ব্যাগভর্তি দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।’

আরও পড়ুন