সংবাদ সম্মেলনে দাবি

চট্টগ্রামে উধাও ১২০ পাহাড়, যেনো তা দস্যুদের আহার

চট্টগ্রাম নগরীর ১২০টি পাহাড়ের অস্থিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। সরকারী বেসরকারী নানা প্রয়োজনে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন, সড়ক নির্মান এবং অবৈধ দখলদারদের বসতি স্থাপনের কারণে এসব পাহাড় উধাও হয়ে গেছে বলে চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য তুলে ধরা হয়।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জঙ্গল সলিমপুরসহ চট্টগ্রামের সব পাহাড় সংরক্ষণ ও নদী রক্ষার দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচটি থানা এলাকায় ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় পাহাড় ছিল। পরবর্তীকালে ৩২ বছরে মোট পাহাড়ের ৫৭ শতাংশ হিসেবে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কেটে ফেলা হয়। এসময়ে নগরীর বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি এবং পাহাড়তলী এলাকায় ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি পাহাড় আংশিক কাটা হয়েছে। এ সময়ে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কাটা হয়। এটা মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ। নগরের বায়েজিদ খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালী ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এসব পাহাড় কাটা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ কাটা পড়ে পাঁচলাইশে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শহরের অতি নিকটে জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগর এলাকা। এখানে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় ছিল তিন হাজার ১শ একর। কিন্তু গত দুই যুগের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জনের চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাহিনী চট্টগ্রামের এই জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগর এলাকার পাহাড় কেটে আলাদা এক সা¤্রাজ্য তৈরি করেছে। গড়ে তুলেছে দেশের ভেতরে আরেক দেশ। তাদের সহযোগী হিসেবে আছেন আরও অন্তত ৩শ জন দখলদার বাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে পাহাড় কাটায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ প্রমূখ।

আরও পড়ুন