আগুনে কেবল ঘর নয়, পুড়েছে শিশু শিক্ষার্থীর স্বপ্নও
ওজাইরের স্বপ্ন ছিল ভালোভাবে লেখাপড়া করে একদিন সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বাব-মায়ের কষ্ট লাগব করবে। কিন্ত সব স্বপ্ন সব আশা নিমেষেই পুড়ে গেলো আগুনে। বাড়ির অন্য সব জিনিসের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তার সব বই। বই ও স্কুল জামা হারিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কিত এ শিশু।
শিশু ওজাইর বলেছে, “আমার সব বই পুড়ে গেছে আমি পড়ব কিভাবে! কে তাকে বই-খাতা কিনে দিবে?“ এমন আরও অনেক প্রশ্ন মোঃ ওজাইর এর মনে।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়ার মৃত ছৈয়দ নুরের পুত্র জামাল হোছাইন মিন্টু(৪০) ও কামাল হোছাইনেট বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হঠাৎ জামাল হোছাইনের বসতবাড়িতে আগুনের সুত্রপাত হয়ে কামাল হোছাইনের বসত বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে, এলাকাবাসীর প্রচেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই জামাল হোছাইনের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কামাল হোছাইনের বসতঘরও আংশিক পুড়ে যায়। সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
জামাল হোছাইন জানান, প্রতিদিনের মত সকালে দিন মজুরী কাজ করতে চলে যায়,হঠাৎ খবর পায় আমার বাড়িতে আগুন লাগে, এসে দেখি সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কেয়ার বাংলাদেশ থেকে দেওয়া একটি গরু বিক্রির ৬০ হাজারসহ ৭০ হাজার নগদ টাকা এবং আমার বিবাহিত মেয়ের আড়াই ভরি স্বর্ণ, কাপড়,আসবাবপত্র,ছেলের বই সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমি এখন নিঃশ্ব হয়ে গেছি।
কৈয়ারবিল আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক হায়দার সোহেল জানান, ৬ষ্ট শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র মোঃ ওজাইর বাড়িতে আগুন লেগে তার বই ও জামা পুড়ে গেছে। স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে নতুন বই ও জামা দেওয়া হবে।
এদিকে আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তাত্ক্ষণিক সহযোগিতার পাশাপাশি তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানিয়েছেন।