পেকুয়ায় গভীর রাতে বসতবাড়ীতে রহস্যজনক আগুন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় গভীর রাতে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এ সময় আগুনের লেলিহান শিখায় টিনের চালের বসতবাড়িটি আংশিক পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। শনিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই দিন রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ধনিয়াকাটা বটতলা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মনজুর আলমের বাড়িতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। মনজুর আলম ওই এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র।

স্থানীয় নুর আহমদ জানান, ১ একর ৮০ শতক জায়গা নিয়ে ধনিয়াকাটায় মনজুর আলম গং ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের মৃত কবির আহমদের পুত্র গোলাম ছরওয়ার গংদের মধ্যে বিরোধ আছে। এ নিয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চকরিয়ায় অপর মামলা ৩০/৯৭ বিচারাধীন। মামলায় মনজুর আলম গংদের অনুকুলে রায় প্রচার রয়েছে। তবে জায়গার বিরোধ অমিমাংসিত রয়েছে। গত ১ সপ্তাহ আগে একটি ফৌজধারী মামলায় মনজুর আলমের স্ত্রী মনচুরা বেগম ও বিবাহিত মেয়ে জাইতুন্নেছাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই মামলায় মনজুর আলমও পলাতক রয়েছেন।

মনজুর আলমের মেয়ে বারবাকিয়া হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী তাসকিয়া জন্নাত বলেন, এটি পরিকল্পিত আগুন। মা বোনকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা ২ বোন বাড়িতে থাকি। যেখানে অগ্নিকান্ড হয়েছে সেটি নতুন ঘর। ৬ মাস আগে নির্মিত। ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে মূলত আগুন দিয়ে বাড়িটি পোঁড়ানো হয়েছে। ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী মাইমুনা জন্নাত জানান, কেরোসিন দিয়ে বেড়ায় আগুন দেয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনের একটি হাতঘড়িও পাওয়া গেছে। মেয়ে রিনা আক্তার জানান, আমরা খুবই নির্যাতনের মধ্যে রয়েছি। প্রতিবেশী কুলছুমা বেগম বলেন, মনজুরের ছেলে মেয়েরা রাতে কান্নাকাটি করছিল। আমরা দ্রæত এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘরটির দুই পাশে আগুন লেগেছে। তবে লোকজন গিয়ে দ্রæত নিভিয়ে ফেলে। ফার্ণিচার ও কিছু আসবাবপত্র আগুনে পুঁড়ে গেছে। মুহাম্মদ কাসেম জানান, তারা ৯৯৯ এ রাতে ফোন দেয়। এরপর পুলিশের জাতীয় সেবা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস,আই মিন্নাত আলী জানান, আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সেখানে গিয়েছিলাম। আগুনের সুত্রপাত নিয়ে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন