লামায় বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় প্রবাসী ভাইয়ের পাঠানো টাকার হিসাবকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মো. ইউনুছের (২৪) লাঠির আঘাতে ছোট ভাই মো. আব্দুর রশিদ (২২) নিহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ছোট ভাইয়ের লাশ পাহাড়ে গুম করে রাখেন বড় ভাই ইউনুছ। ঘটনার একদিন পর সোমবার দিনগত গভীর রাতে ঘাতক মো. ইউনুছ নিজেই আবার স্বজনদের সহায়তায় নিহত ভাই আব্দুর রশিদের লাশ উদ্ধার করেন।

পরে পুলিশি জিঙ্গাসবাদের এক পর্যায়ে ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন বড় ভাই ইউনুছ।

নিহত আব্দুর রশিদ ও ঘাতক ইউনুছ ইউনিয়নের মধ্যম রাঙ্গাঝিরি পাড়ার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যম রাঙ্গারঝিরি বাসিন্দা আবুল কালামের ৪ ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে মো. ফিরোজ (৪০) সৌদি প্রবাসী। ছোট তিন ছেলের কাছে বিভিন্ন সময় প্রবাসী বড় ভাই মো. ফিরোজ পারিবারিক কাজে টাকা পাঠাতেন। এসব টাকার হিসাব নিয়ে রবিবার দিনগত রাত পৌনে দশটার দিকে মধ্যম রাঙ্গারঝিরি সড়কের উপর ইউনুছ ও আব্দুর রশিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউনুছ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মারা যান ছোট ভাই আব্দুর রশিদ। পরে আব্দুর রশিদের লাশ পাশের পাহাড়ে লুকিয়ে রাখেন বড় ভাই ঘাতক মো. ইউনুছ। এদিকে রাতে আব্দুর রশিদ ঘরে না ফিরলে পরদিন সোমবার দিনগত রাতে স্বজনদের সহায়তায় ওই পাহাড় থেকে আব্দুর রশিদের লাশ উদ্ধার করেন এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুরিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন। জিঙ্গাসাবাদের এক পর্যায়ে ছোট ভাই আব্দুর রশিদকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে খুন করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন বড় ভাই মো. ইউনুছ। পরে পুলিশ ঘাতক ইউনুছ কে আটক করে উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেন, টাকার হিসাব নিয়ে বড় ভাই ইউনুছের লাঠির আঘাতে আব্দুর রশিদ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক মো. ইউনুছকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। নিহত আব্দুর রশিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন