রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান, আরসার ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন ব্লকে ৮ এপিবিএন, র‍্যাব, জেলা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আরসার পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত উখিয়ার ১৩ ও ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের কালা মিয়ার ছেলে রশিদ মিয়া (৫২), সি-৬ ব্লকের আবু কালামের ছেলে আজমত উল্লাহ (২৩), সি-১২ ব্লকের গোলাম শরীফের ছেলে মোহাম্মদ শাকের (২৫), ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকের আব্দুল গনির ছেলে আবু তালেক (৩২) এবং জি-৫ ব্লকের জমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৬)।

এপিবিএন জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। হত্যাকাণ্ড, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফারুক আহমেদ জানান, ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি)জনাব মোঃ আমির জাফর বিপিএম এর নির্দেশনায় উক্য সিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর তত্ত্বাবধানে মোঃ ফারুক আহমেদ সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে তাজনিমারখোলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মো: রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ক্যাম্প এলাকায় হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার দায়ে ক্যাম্প-১৩,১৯ এলাকা হতে ৫ জন আরসার আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা, আরএসও, নবী হোসেন গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয়। যাদের দমন করতে অব্যাহত অভিযানে এই পাঁচ আরসা সদস্যকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা আলোচিত পাঁচ খুনে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এপিবিএনের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত। ফাইভ মার্ডারের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাঁদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার ভোরে প্রতিপক্ষ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই ঘটনায় আরসার পাঁচ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে নতুন করে রোহিঙ্গা আগমনের পর কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে এখন পর্যন্ত ১৮৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন