বাঁশখালীর মেয়ে তেহেসিন সামিরা’র পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশলের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানের পুকিয়ং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বাঁশখালীর মেয়ে তুর্কীর বধু ড. তেহেসিন সামিরা দেলোয়ার। তেহেসিন সামিরা মেধার সাথে গড়ে তুলেন তাঁর ক্যারিয়ার। তিনি Fset debate Club এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন এফসেট রিসার্চ ক্লাবের প্রাক্তন সদস্য, দৃষ্টি চট্টগ্রাম ও শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের সদস্য, ঢাকা লিভ এর প্লেনিং অফিসার ছিলেন। তিনি বিতর্ক করেন, আবৃত্তি করেন। থিয়েটার নিয়ে দেশের বাইরে দিল্লী, গুজরাট, কলকাতা, নাগপুর যান। অভিনয়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০০৭ এর বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। অভিনয় ও আবৃত্তিতে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০০৬ এর বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০৭ সালে তিনি মঞ্চকুঁড়ি পদক পান। লন্ডন-মুর্ভাস ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পোকেন ইংলিশ ‘ইয়াং লার্নাস ইংলিশ’ এর উপর ক্যাটাগরিতে সনদপ্রাপ্ত হন তিনি। তেহেসিন সামিরা স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশে একদিন গবেষণা কেন্দ্রের খাত তৈরী হবে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান, পুকিয়ং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি, পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার গবেষণার বিষয় চিপ ডিজাইন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সিস্টেমে অন চিপ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। তেহেসিন সামিরা দেলোয়ার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের মোশাররফ আলী সিকদার বাড়ীর অধ্যাপক মরহুম দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। গত ২০২১ সালে তুর্কী তরুণ উনাল আরাসের সাথে তুরুস্কের ইস্তাম্বুলে তার বিয়ে হয়। তেহেসিন সামিরা বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশে একদিন গবেষণা কেন্দ্রের খাত তৈরী হবে। তার গবেষণার বিষয় RF Circuit Design. বর্তমানে তিনি দক্ষিন কোরিয়ায় System On Chip ল্যাব এ গবেষণা কাজে নিযুক্ত রয়েছেন।