বাঁশখালীর কাহারঘোনা মিনজীরিতলা সংযোগ সড়ক
দূর্ভোগ যেখানে নিত্যসঙ্গী
বাঁশখালী উপজেলার ‘কাহারঘোনা মিনজীরিতলা’ অভ্যন্তরীণ সড়কটি ব্যস্ততম একটি সড়ক। উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা ও বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘসময় ধরে বেহালদশায় পড়ে থাকে এ সড়কটি। পরে সড়কটির সংস্কারের টেন্ডার হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ সড়কটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় ১ কিলো ৬শ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৩১লক্ষ টাকা টেন্ডারের কাজ পায় ফটিকছড়ির মেসার্স প্রিউরীলিপ এন্টারপ্রাইজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা সদরের সাথে এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির ইটগুলো কাজ করার জন্য খুলে ফেলে ঠিকাদার চলে গেছে দীর্ঘ ৫মাস ধরে। ফলে বৃষ্টির কারণে সড়কে জলে কাদায় একাকার হয়ে যায়। সাধারণ লোকজন ও যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়। বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ। বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ, স্কুল-মাদরাসা, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি শেষ থাকে না। কবে নাগাদ কাজ শেষ করা হবে তার কোন সদুত্তর পাচ্ছেনা কেউ। সড়কের ইট খোলার পর ঠিকাদার এখন লাপাত্তা।
ঠিকাদারি কাজের দায়িত্বে থাকা সাজিদের নেতৃত্বে চলতি বছরের জুনের শুরুতে বাঁশখালীর ইউপি নির্বাচনের আগে পৌরসভার আস্করিয়া সড়কের পর থেকে সংস্কারের জন্য রাস্তার ইটগুলো দীর্ঘদিন থেকে তুলে ফেলা হলেও কাজ শুরু না করায় ভোগান্তি বাড়ছে দিন দিন। বেশ কয়েজজন সিএনজি-অটোরিক্সা চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘এ সড়কে একদিকে স’মিলের গাছের ভোগান্তি অপরদিকে ইট তুলে নেওয়ার ভোগান্তি সব মিলে কষ্টের শেষ নেই এ সড়কে।
সরল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নুর মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ভোগান্তি দিচ্ছে। জনগনের কথা ভেবে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় টেন্ডার ও কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাস্তার ইটগুলো দীর্ঘদিন থেকে তুলে ফেলে রাখায় জনগন আমাদের নানাভাবে মন্দ বলছে। ঠিকাদারের সাথে শহরে গিয়ে দেখা করেছি কাজটা শুরু করার জন্য। নানা অজুহাতে কাজ না করাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনগন এমনটাই দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ঠিকাদার সাজিদকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘সড়কটির কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। সড়কের কাজ এতোদিন কেন বন্ধ ছিল জানতে চাইলে ‘ব্যস্ত আছি, পরে ফোন দেবো’ বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে পুনঃকাজ শুরু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।’