বাঁশখালী শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়কের কাজে ধীরগতিতে জনদূর্ভোগ

বাঁশখালী শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর গত এক বছরে এখনো কাজই শেষ করতে পারেনি কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন। দীর্ঘ সড়কে দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। হাতে-গোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে মন্থরগতিতে কাজ চলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার শীলক‚প ইউনিয়ন ও গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারার সাথে বাঁশখালী প্রধান সড়কের একমাত্র সংযোগ সড়ক এটি। দীর্ঘ সড়কজুড়ে আবারো সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ধ‚লাবালির নরক রাজ্যে জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।স্বাভাবিকভাবে হাটাঁ-চলাফেরা করতে পারছেনা পথচারী। এহেন অবস্থায় বিকল হচ্ছে সড়কে চলমান যানবাহনগুলো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি চট্টগ্রামের আওতায় মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পৌনে ৪ কোটি টাকা। কাজ শুরুর একবছর অতিক্রম হলেও কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।

স‚ত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলক‚প টাইমবাজার ও পশ্চিমে গন্ডামারা ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠির সঙ্গে প্রধান সড়কের সাথে জনগণের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। দীর্ঘ এক বছর অতিক্রম হলেও কাজের গতি নেই। সড়কের কোনো কোনো অংশে কার্পেটিং তুলে ফেললেও ঠিকমতো বালু ও পাথরের মিশ্রণ ঢেলে রোলিং না করায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

শীলক‚প ইউপির চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন বলেন, ‘সড়কটি টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার দ‚রত্বের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠির যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দ‚র্ভোগে যাতায়ত করে।সড়কের কার্পেট খুলে ফেলায় নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে চরম দ‚র্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। তারা মাঝেমধ্যে আসে কাজ শুরু করে আবার চলে যায়। এখনো পর্যন্ত সড়কের এক-তৃতীয়াংশ কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার কামাল হোসেনের মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব বলেন, ‘আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ ব্যাপকভাবে শুরু করা হবে। খুব শিগগির সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অফিস স‚ত্রে তিনি প্রশিক্ষণে আছেন বলে জানা যায়। মুঠোফোনেও বার বার ফোন দিলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন