বাঁশখালী টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়ক : যন্ত্রণাই নিত্যসঙ্গী
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের উত্তর গন্ডামারা হোছাইন শাহ্ মাজার পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমেটার সড়ক গর্ত-খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিণত হলেও সংস্কারবিহীন থেকে গেছে গত ১০ বছর ধরেই। অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে শিলকুপ-গন্ডামারা দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫০হাজারেরও অধিক জনসাধারণ। বিশেষ করে গন্ডামারা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের লোকজনের সাথে বাঁশখালীর আঞ্চলিক প্রধান সড়কের যোগাযোগের বিকল্প সড়ক শিলকূপ-গন্ডামারা সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ওই সড়কটি ছাড়া বাঁশখালীর প্রধান সড়কের সাথে ওই দুই ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন সড়ক নেই।
বাঁশখালী উপজেলা এলজিআরডি’র সূত্রমতে, সড়কটি ২০১২ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি প্রায় ৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ সড়কে খানাখন্দে রূপ নিয়েছে। গন্ডামারা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত মালবাহী গাড়ী যাতায়তের ফলে দীর্ঘ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই সড়কের পার্শ্বদেশ ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রূপ নিয়েছে। স্বাভাবিক হাঁটাচলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কের কার্পেট ওঠে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টিতেই কাদা-জলে একাকার হয়ে চরম দূর্বিসহ হয়ে ওঠে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা।
বাঁশখালী প্রধান সড়ক সংযোগ শিলকূপ-গন্ডামারা সড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন চালকরা জানান, ‘বাঁশখালী প্রধান সড়কের সাথে দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ জনসাধারণের যোগাযোগ মাধ্যম সড়কটি এখন গলার কাঁটা। ইদানিং সড়কের কার্পেট ওঠে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো সড়কে কার্পেটের বদলে ভাঙ্গা লাল ইটের টুকরো। রিকশার মতো ছোট যানবাহন চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় সিএনজি-অটোরিক্সা সড়কে উল্টে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে গন্ডামারা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত বড় বড় মালবাহী গাড়ী চলাচলের কারণেই সড়কের নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক চলাচল হয়ে পড়েছে দূর্বিসহ। সাধারণ রোগী ও ডেলিভারি রোগীদের যাতায়াত কোন কিছুতেই কল্পনা করা যায় না।
সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যেই পুরোদমে এ সড়কের কাজ শুরু হবে।’