বাঁশখালীতে চলছে ধড়পাকড়, ২২ বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বাঁশখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জ্ঞাত-অজ্ঞাত সাড়ে চারশজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে বিস্ফোরণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারী কাজে বাধা এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাঁশখালী জুড়ে চলছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপি’র ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের করা পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌর মহিলা দলের সভাপতি শরাবন তাহুরা ফেরদৌস কলি, দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিপু, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. তারেক, বিএনপির সমর্থক সাধনপুর ইউপির মো. জোবায়ের, ডোংরা এলাকার পারভেজ ও মো. এমরান, জঙ্গল নাপোড়ার মো. কামাল, সাধনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. দেলোয়ার, বিএনপির সমর্থক পশ্চিম গুনাগরির কায়সার, দক্ষিণ সাধনপুরের আব্দুর রহিম, চন্দনাইশ থানার সাতবাড়িয়া ইউপির জসিম উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু ও মো. মোশাররফ হোসেন, বাহারছড়া ইউপির হেলাল উদ্দিন, সাধনপুর ইউপির শওকত, শীলকূপ ইউপির মোহাব্বত আলী পাড়ার নবাব আলী, শেখেরখীল ইউপির মো. জাকারিয়া, ডোংরা এলাকার মুনুসর আলম, উত্তর জলদীর আকরাম, শেখেরখীলের নুরুল আমিন, পূর্ব বড়ঘোনার ফরিদুল আলম, উত্তর জলদীর মোশারফ হোসেন, মোঃ আলী রিয়াজ।

বাঁশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) মু. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাঁশখালীতে উদ্বুত যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিএনপি’র ডাকা সমাবেশে পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে সংঘর্ষের ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬৩ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। এ ঘটনায় সোমবার (৩০ আগস্ট) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এজহারনামীয় ও তদন্তেপ্রাপ্ত মোট ২২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বাঁশখালীতে চলছে চিরুনী অভিযান : বিএনপি’র ১৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার – CTG SANGBAD24

বাঁশখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ৩ মামলায় গ্রেপ্তার ৬ – CTG SANGBAD24

বাঁশখালী বিএনপি জলে-কাদায় একীভূত, অর্ধশতাধিক আহত – CTG SANGBAD24

আরও পড়ুন