বাঁশখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ৩ মামলায় গ্রেপ্তার ৬

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।প্তারকৃতরা হলো দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌর মহিলা দলের সভাপতি শরাবন তাহুরা ফেরদৌস কলি, দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জান্নাতুল নাঈম রিপু, সাধনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. দেলোয়ার, বিএনপির সমর্থক মো. পারভেজ, মো. এমরান ও মো. জোবায়ের।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার বিকালে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিভিন্ন ধারায় করা এসব মামলায় বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বন এবং পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অজ্ঞাত আসামি ৩শ থেকে ৪শ জন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে বাঁশখালী বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুর জহুরছড়া সড়কে উঠার সময় অনুমতি না থাকায় তাদের গতিরোধের চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতেই পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আনোয়ারা-বাঁশখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবিরসহ পুলিশের অন্তত ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত ওসমান বলেন, বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। ওই সমাবেশ পুকুরিয়া ইউনিয়নে করার কথা ছিল। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের খবর জেনে শুক্রবার সকাল থেকে পুরো বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ইউনিয়নভিত্তিক নেতা-কর্মীরা যার যার অবস্থানে সভা-সমাবেশের ডাক দিয়ে রাস্ত দখল করে রাখে। বিএনপি নেতারা এই খবর জানতে পেরে সমাবেশ আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পশ্চিম গুণাগরীর বাড়িতে। বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাদের বাড়ি হয়ে প্রধান সড়কে ওঠার সময় গুণাগরী জহুর সড়কে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন এবং পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা বলেন, মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশকে অনুরোধ করেও নেতা-কর্মীরা ব্যর্থ হয়। পুলিশ বার বার নেতা-কর্মীদেরকে ক্ষিপ্ত করে তুলে ধাওয়া দিলে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। এ সময় নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশ হামলা চালায়। এতে অন্তত আমাদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।

বাঁশখালী বিএনপি জলে-কাদায় একীভূত, অর্ধশতাধিক আহত – CTG SANGBAD24

আরও পড়ুন