প্রত্যয়ী নেতৃত্বে সেবাব্রতী গুণে অনন্য বাঁশখালীর সাধনপুরের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন

বিনামূল্যে নাগরিক সেবা প্রদানে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের আস্থা অর্জন করছেন বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কে.এম সালাহউদ্দিন কামাল। চলতি আগস্ট মাসের ৭ তারিখে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে নিরলসভাবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ইউপিবাসীকে। জনগণের প্রতি তাঁর নির্বাচনী ওয়াদার বাস্তবায়নে জন্মনিবন্ধন সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ওয়ারিশ সনদ, পারিবারিক সনদ, মৃত্যু সনদসহ যাবতীয় নাগরিক সেবা বিনামুল্যে প্রদান করেন তিনি। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৪ হাজার জন্মনিবন্ধন ফ্রি করে দিয়েছেন। সরকার নির্ধারিত ফি তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদান করেছেন। এ নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

বাঁশখালীতে নতুন ভোটারদের হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। চলমান বিদ্যুৎ সংকটে নাগরিক সেবা দিতে, নতুন ভোটারদের ভোগান্তি দূর করতে ইউনিয়ন পরিষদে তাঁর ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয় করে আইপিএস, সোলার সেবা চালু করেন তিনি। সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাধনপুর ইউনিয়নকে কাংক্ষিত উন্নয়নে রূপদান করছেন।

 

চেয়ারম্যান কে.এম সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই দেখেছি ভোটার হওয়ার আনন্দে আত্মহারা সাধনপুরের নতুন প্রজন্ম। তাদের মাঝে সর্বত্রই বিরাজ করেছে নতুন ভোটার হওয়ার আনন্দ। এ আনন্দ হার মানিয়েছে ঈদের আনন্দকেও। প্রতিদিন প্রায় ৩ শতাধিক তরুণ-তরুণী তাদের অভিভাবকরা ইউনিয়ন পরিষদে ভিড় জমাতো নতুন ভোটার হওয়ার উদ্দীপনায়। পুরোনো অচলায়তন ভেঙ্গে ভোটার কাজে তাদেরকে সহযোগিতা ও নাগরিক সেবা দিতে প্রথম থেকেই বিরতিহীনভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। নাগরিক সেবা প্রদানে যাতে ব্যঘাত না ঘটে নিজ উদ্যেগে ব্যবস্থা করেছি আইপিএস-সহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামদি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিনামূল্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করেছি ইউনিয়ন পরিষদে। নিজস্ব অর্থায়নে বহন করছি জন্ম নিবন্ধনের সরকারি ফি। ছুটির দিনেও জনস্বার্থ বিশেষ বিবেচনায় ইউপি সচিব, সদস্য, উদ্যেক্তা ও মহল্লাদারদের সার্বিক সহযোগিতায় সবাই একযোগে কাজ করেছি। এমনকি আপনারা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের মধ্যেও আইপিএস এর আলোয় সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ জেগে ছিলো আপনাদের সেবায়। সব ইকুয়েশনের উর্ধ্বে গিয়ে নতুন ভোটারদের ভোগান্তি নিরসনই ছিল আমার লক্ষ্য।

ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত ইউনিয়নবাসী ও সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিমিয়কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন। এ সময় পরিষদের সচিব ও সাধারণ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।