মিরসরাই এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রাম’র ঈদ পুনর্মিলনী

মিরসরাইয়ে বইছে হাওয়া, শিক্ষা মোদের প্রথম চাওয়া এই স্লোগানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মিরসরাই এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রাম’র ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মহামায়া ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থিত হান্ডি রেস্টুরেন্টে স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজকর্মীদের নিয়ে এই ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার সভাপতি মীর্জা জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এমরান উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার, কলামিস্ট ও সংস্থার উপদেষ্টা শাহ আলম নিপু, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, কামরুল হাসান এফসিএ, সংস্থার পৃষ্ঠপোষক এরাদুল হক নিজামী ভুট্টু, সংস্থার উপদেষ্টা নুর নবী, এনায়েত উল্ল্যাহ হাজারী, রাশেদা আক্তার মুন্নী, সহ-সভাপতি হাজী শামসুদ্দীন ভূঁইয়া প্রমুখ। ঈদ পুণর্মিলনীতে মিরসরাইয়ের ২৭ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মিরসরাই এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রাম’র ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক হিসেবে ছিলেন এস.এম সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন এম.এ জাহেদ পলাশ।

মিরসরাই এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রাম’র সভাপতি মীর্জা জসিম উদ্দিন বলেন, ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর ১১ জন সদস্য নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণেলহাট হলি ফেইম রেস্টুরেন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বর্তমানে ৪৩ জন সদস্য রয়েছে যাঁরা বিভিন্ন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় দিবস পালন ছাড়াও এতিম, মেধাবী, হাফেজ ও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া এতিম ১১০ জনকে সহযোগিতা করা হয় সংগঠন থেকে। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অনুদান প্রদান, মিরসরাই থেকে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ি, নাস্তা ও খাবারের ব্যবস্থা করা ছাড়াও অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা ও শিক্ষা অনুদান, ভবিষ্যতে চার্টার একাউন্টে (সিএ) পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেমিনারের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার সহযোগিতা ও প্রশিক্ষন প্রদান, ইংরেজির উপর শিক্ষক প্রশিক্ষন ও শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।