বাঁশখালী প্রধান সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের সাথে আনোয়ারা-বাঁশখালী, চকরিয়া-পেকুয়া, মগনামা-মহেশখালী, কুতুবদিয়া-কক্সবাজারকে সংযুক্ত করার কারণে আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে পরিগণিত হয়। গুরুত্বপূণ এ সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী সৌদিয়া, এসআলম বাস চলাচল করে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের যানবাহন বাস, সিএনজি, ট্রাক-ডাম্পার, মালবাহী কার্গো সার্ভিস চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। একদিকে অপ্রশস্থ ও সরু সড়ক অপরদিকে সড়কের ফুটপাথ অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে, যার ফলশ্রæতিতে নিত্য যানযট লেগে থাকে এ সড়কে, ঘটে নানা দুর্ঘটনা।
বাঁশখালীর প্রবেশদ্বার পুকুরিয়ার চাঁদপুর থেকে শুরু করে গুনাগরী চৌমুহনী বাজার, বৈলছড়ী কে.বি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজারসহ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্পটে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে প্রতিনিয়। খোদ প্রধানসড়কের ফুটপাথ দখল করে বসে স্থানীয় বাজারগুলো। তাছাড়া, ফুটপাতের জায়গা দখল করে বিভিন্ন দোকানের অংশ বর্ধিত করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথচারীদের চলাচলের জায়গায় দোকানের মালামাল রেখে দখল করে রেখেছেন।
অপরদিকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওই সড়কটির বিভিন্নস্থানে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দাড় করে যাত্রী ওঠা-নামা, অঘোষিতভাবে সড়ক দখল করে যত্রতত্র বাসস্টেশন করার ফলে দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। একদিকে ফুটপাতের জায়গা দখল অপরদিকে গাড়ির অবাধ পার্কিং, এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে প্রধান সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে বাসস্টেশন। বিষয়টি বারবার প্রশাসনের নজরে আনা হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সড়কের পুরো ফুটপাথ দখল করে দোকানদারা ব্যবসা পেতে বসেছে। এসব জায়গায় সড়কের ওপর বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রেখে চলছে বেচাকেনা। মাঝে মাঝে বাজারের মধ্যে ট্রাক রেখে খালাস করা হচ্ছে মালামাল। ফুটপাথে হাঁটতে পারছেন না পথচারীরা। বিভিন্ন সময় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অঙ্গহানিসহ প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। একটা দিনও যানজট ছাড়া দেখা যায়না। আর সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে স্কুল-মাদরাসা গামী ছোট শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন, জনস্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা হবে এবং প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।