রাউজানে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ শাহেদের লাশ মিললো ৩৬ ঘন্টা পর

অবশেষে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা রাউজানের নিখোঁজ ব্যবসায়ী শাহেদ হোসেন বাবুর (৩৭) খোঁজ পাওয়া গেছে তবে জীবিত নয়, তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হালদা নদীতে নৌকা উল্টে নিখোঁজ বাবুর নিথর মরদেহ হালদা নদীর চায়াটর এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় লোকজন বাবুর লাশটি ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

তিনি রাউজানের উরকিচর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সমাজ সেবক এস এম ইউসুফ সিআইপির ছেলে। বিবাহিত বাবু এক পুত্র সন্তানের জনক। তিনি চট্টগ্রাম নগরেন একজন তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

নিখোঁজের পর থেকে গত ৩৬ ঘন্টার নৌ পুলিশ, রাউজান ও হাটহাজারী থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, ডুবুরি দলসহ স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার ডুবুরি দল ঘটনাস্থলের আশপাশে তার লাশের হদিস না পেয়ে নৌকাযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন স্পটে লাশের সন্ধানে অভিযানে নামে। বুধবার ভোররাত চারটার দিকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে বন্যার পানিতে নিজের গরু এবং মৎস্য খামারের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করে নৌকা নিয়ে পশ্চিম বাড়িঘোনা হালদা নদীর শাখা খাল দিয়ে ফেরার পথে বাড়িঘোনা ব্রীজের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকা উল্টে যায়। এ সময় শাহেদের সাথে থাকা চারজন সাঁতার কেটে কুলে আসতে পারলেও বাবু ভাটার পানির স্রোতে ভেসে যায়। তাকে উদ্ধারে রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে নৌ পুলিশ, রাউজান ও হাটহাজারী থানা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান রাউজানের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

নিহত শাহেদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে বাদে আছর নিজ গ্রাম উরকিরচরে নিহত বাবুর নামাজে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন