মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাগিনার (বড় বোনের ছেলে) হাতে খালাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আজমনগর গ্রামের কেনু সওদাগর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রোজিনা আক্তার (২৫)। তিনি ওই বাড়ির কেনু মিয়ার মেয়ে। স্বামীর সাথে ডিভোর্সের পর তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ রোজিনার ঘর থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর তারিকুল পলাতক রয়েছে। তারিকুলের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নে। সে নানার বাড়িতে থাকত।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, বুধবার বিকেলে রোজিনার সাথে তার বড় বোনের ছেলে তারিকুল ইসলামের পারিবারিক কলহে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে তারিকুল ছুরি দিয়ে রোজিনাকে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে পরিবার লাশ দাফন করতে চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সুরতহালে মনে হচ্ছে এটি খুন। ঘটনার পর তারিকুল পলাতক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোজিনার ঘর থেকে একটি রক্ত মাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে রোজিনার মা পরান ধন রোজিনাকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন বুধবার দুপুরে রোজিনা অসতর্কতাবশত একটি বটিতে পড়ে মারা গিয়েছে। লাশ দাফনের আগে পুলিশ এসে বাধা দেয়।