চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কৃত সাতকানিয়ার এমপি নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরী
অবশেষে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলাধীন চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী। প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বালু মহাল দখলে গোলাগুলি, কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নানা অভিযোগ ছিলো এলাকাবাসীর। কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামী হওয়া আলোচিত-সমালোচিত এ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধান এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা ও অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে এসব অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে। তার দ্বারা অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে সাতকানিয়ার চরতীতে মোবাইল কোর্টে জব্দকৃত বালু ও অ্যাস্কেভেটর চুরির ঘটনায় জিম্মাদার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।
বালু নিলাম কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রুহুল্লাহ চৌধুরী প্রয়াত জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর শ্যালক।