ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে গুগলের ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নজরদারি চুক্তির বিরোধিতা করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কোম্পানিটির একজন কর্মী।
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট এই কোম্পানির বিপণন ব্যবস্থাপক এরিয়েল কোরেন ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চালানো নিপীড়নের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়। তার এই সক্রিয়তার কারণে গুগলে প্রতিকূল কাজের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এরিয়েল। চলতি সপ্তাহেই তিনি গুগলের চাকরি ছাড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এরিয়েল কোরেন বলেছেন, ‘যে কর্মীরা কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসার কারণে আমি এই সপ্তাহে গুগল ছাড়ছি। আমি ইসরায়েলের সাথে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা/নজরদারি চুক্তির বিরোধিতা করার পরপরই গুগল আমার দায়িত্ব কেড়ে নিয়েছে।’
প্রোজেক্ট নিম্বাস নামের একটি প্রোগ্রামে এরিয়েল কোরেনের আমাজন এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে গুগলের ১২০ কোটি ডলারের সহযোগিতা চুক্তির প্রতিবাদ করার পর থেকে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
এই চুক্তি প্রত্যাহারে গুগলকে রাজি করানোর জন্য এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবাদ সংগঠিত করে এসেছেন তিনি। এ জন্য তিনি পিটিশন দায়ের থেকে শুরু করে নির্বাহীদের মাঝে লবিং এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন।
তবে কোরেন বলেছেন, তার উদ্বেগের কথা শোনার পরিবর্তে গত বছরের নভেম্বরে একটি আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব প্রত্যাহার করে নেয় গুগল। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো থেকে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বদলি অথবা চাকরি ছাড়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় তাকে।
তিনি বলেন, বাধ্যতামূলক এই পদক্ষেপের পক্ষে আইনি কোনও যুক্তি নেই এবং তিনি গুগলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লেবার রিলেশন্স বোর্ডে (এনএলআরবি) অভিযোগ করেছেন।
কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গুগল এবং এনএলআরবি কোরেনের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করেছে এবং তাতে কোনও ভুল পায়নি।
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষপাতমূলক নীতির কথা উল্লেখ করে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন গুগলের আরও অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি কর্মচারী ও সহযোগী।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আলজাজিরা।