নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদযাপিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষ্যে “হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি” প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআরবি, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, মমতা, ইমেজ, নিষ্কৃতি, আশার আলো, নাটাব, আইআরডি, বার্ডাস, আশার আলো সোসাইটি, এসএমসি, লেপ্রসি মিশন ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এবং জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়ুয়া, জেনারেল হাসপাতাল আরএমও ডা. গোলাম মোস্তফা, সিভিল সার্জন কার্যালয় এমও ডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দার, বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. বিপ্লব পালিত, সাধারন সম্পাদক নাটাব শফিকুল ইসলাম, ব্র্যাক জেলা ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মমতার পক্ষে সিবগাতুল্লাহ মোঃ আরিফ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমও সিএস ডা. মোঃ নওশাদ খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় ডিএসএমও ডা. আবদুল্লাহ্-হির-রাফি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশে য²ার বর্তমান পরিস্থিতি সভায় তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বলেন, যক্ষ্মা হলে ভয় পাওয়া যাবে না। যদি কেউ যক্ষ্মা আক্রান্ত হয় এবং সে যদি ভয় পেয়ে চিকিৎসা না করে তাহলে সে আশেপাশে আরো দশজনকে ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে আসে। এটা আমাদের দেশকে সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ আরো বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে আরো গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করতে হবে।