শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কিথ ডি বার্নার্ড বলেন, বাংলাদেশের শিপিং বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে করোনার সময়। সারা বিশ্ব যখন বন্ধ ছিল সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিনিয়ত আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। শ্রীলংঙ্কার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আমরা ভবিষ্যতে শ্রীলংঙ্কা পোর্ট অথরিটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য পরিবহনে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে প্রস্তুত আছি।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল, ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খান, এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা আতাউল করিম, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোওয়াডার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালকবৃন্দ এবং বিভিন্ন লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বাড়াতে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষকে গুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাওয়া ফিডার ভ্যাসেলকে অন এরাইভ্যাল বার্থিং দেওয়া, বাংলাদেশি পণ্যের কনটেইনার রাখতে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা, অন্যান্য ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টের ন্যায় কলম্বো পোর্টের খরচ কমানো, কলম্বো পোর্টে ফিডার ভ্যাসেলের পণ্য মাদার ভ্যাসেলে ওঠা-নামার মধ্যকার ইন্টার টার্মিনাল ট্রান্সফারের (আইটিটি) সময় কমানো, মাদার ভ্যাসেলে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য তুলে দিতে অন্যান্য ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টের চেয়ে কলম্বো পোর্টের কার্ট অব টাইম বাড়ানো ও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের এয়ার শিপমেন্ট টাইম কমানো ইত্যাদি।
সংকট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম আসে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ আমেরিকায় পণ্য পরিবহনের জন্য মাদার ভ্যাসেলে (বড় জাহাজ) পণ্য তুলে দিতে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে চারটি বন্দর ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর পোর্ট, শ্রীলঙ্কায় কমছে পোর্ট ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ও তানজুং পেলেপাস। এরমধ্যে সিংঙ্গাপুর বন্দরের পর শ্রীলঙ্কার কলঙ্কে পোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রচুর পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে।