অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা শিশু সুরমা’র খুনি

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বন্দর কলোনীর পরিত্যক্ত ভবনে ধর্ষণ শেষে সুরমা (৭) নামে এক শিশুকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আসামী মোঃ ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের হাজিপুর সিরাজ সর্দার বাড়ির মৃত আলী আজমের পুত্র।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে ওসমান হারুন মিন্টুকে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বেপারী পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার ব্যবহৃত রিকশাটি জব্দ করা হয়।

জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৯টার দিকে শিশু সুরমা আক্তারকে হালিশহর কে বøকের পাশ থেকে বিরিয়ানী খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে রিকশায় করে নিয়ে যায় আসামী রিকশা চালক মিন্টু। পরেরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে গলায় গামছা পেঁছানো অবস্থায় বন্দর পোর্ট কলোনী ৮নং রোডের মাথায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হালিশহর থানাধীন বুইল্যার কলোনী এলাকার ভাড়াটে শিশু সুরমা ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবীকা নির্বাহ করতো।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে বন্দর কলোনীর পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার – CTG SANGBAD24

পরে পুলিশ বাদি হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আলোকে বন্দর থানা পুলিশসহ তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। বন্দর থানা, হালিশহর থানা এবং ডবলমুরিং মডেল থানার শতাধিক সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সনাক্ত করা হয় খুনী রিকশা চালক মিন্টুকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত গ্রেফতারকৃত আসামী জানায়, বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ওইদিন সুরমাকে রিকশায় ওঠাই। বড়পুল রাস্তায় বট বিরিয়ানি খাওয়াই। তারপর পোর্ট কলোনী ৮নং রোডের মাথায় পরিত্যক্ত ঘরটিতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করি তারপর তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করি। ঘটনার পর সে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে পলাতক থাকি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, অনেক চেষ্টার পর চাঞ্চল্যকর শিশু সুরমা হত্যার মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনায় আর কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।