শুধু বিনামূল্যের নয়, কিনে দেয়া ওষুধও যায় দোকানে

রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক দেয়া বিনামূল্যের ওষুধতো পায়-ই না রোগী সাধারণ, বরং নিজেদের ঘাটের পয়সা খরচ করে কিনে দেয়া ওষুধও হাত বদল হয়ে চলে যায় মেডিকেলের সামনের ওষুধের দোকানগুলোতে। শুধু মেডিকেলের সামনের ওষুধের দোকান নয়, চট্টগ্রাম শহরের আনাচে কানাচে ওষুধের দোকানে মিলবে বিনামূল্যের সকল ওষুধ। সরকার কর্তৃক সাধারণ নাগরিকদের জন্য দেয়া বিনামূল্যের ওষুধ রোগীরা পায়না কিন্তু ওষুধের দোকানদার পায় অনায়েসেই। ওষুধ পাচারের এ দুষ্টু চক্রের সাথে জড়িত মেডিকেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নিজেদের দায় অস্বীকার করলেও এসব ওষুধ বাইরে কিভাবে পাওয়া যায় তার কোনো উত্তর নেই দায়িত্বশীলদের কাছেও। মাঝে মধ্যে নামকাওয়াস্তে অভিযানে দু/একজন ধরা পড়লেও তারা আবার ঠিেই জামিনে বেরিয়ে আসে। আর বরাবরই রাঘববোয়ালরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ঠিক সেরকম এক চুনোপুঠিকে ধরেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে ২৫ ধরনের ওষুধসহ আরাফাতুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে ব্যাগভর্তি ওষুধসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে পাওয়া যায় ২৫ ধরনের ওষুধ। অপারেশন থিয়েটারের কর্মচারীরা এসব ওষুধ তার কাছে বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার এসব ওষুধ মূলত রোগীর। যা বিভিন্নভাবে চুরি করে হাসপাতালের কর্মচারীরা। এর আগেও বিভিন্ন সময় ওষুধ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ভোরে ওষুধসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তার সঙ্গে বেশকিছু ওষুধ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওষুধ চুরির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর। চোরচক্রের সদস্যদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আরফাত বলেন, মেডিকেলের কর্মচারীরাই তাকে এসব ওষুধ দেন। ধনী-গরিব সবার রোগীদের প্রয়োজনে কিনে দেয়া ওষুধ তাদের অজান্তেই তারা বিক্রি করেন বলে আরফাত দাবি করেন। কম মূল্যে কিনতে পারায় বেশি লোভের আশায় দীর্ঘদিন ধরেই সে এ পেশায় জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন