বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মতো পরিকল্পনাকারীদেরও সাজা হবে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ৬দিন ব্যাপী শোকাঞ্জলি আনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেদিন ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেনি। তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল। কি অপরাধ ছিলো শেখ রাসেলের? আমরা খুনীদের বিচার করেছি কিন্তু, খুনের পরিকল্পনাকারীদের বিচার এখনো হয়নি। সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর খুনের পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার।

মন্ত্রী আরো বলেন, তারা জানতো বঙ্গবন্ধুর রক্ত বেঁচে থাকলে বাঙালি একদিন ঘুরে দাঁড়াবে, খুনীদের বিচার একদিন হবেই। আজকে ঠিক সেটাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে অনেক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এক নজর দেখার জন্য বিমান বন্দরে ছুটে গিয়েছিল হাজারো বাঙালি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “কেউ তোমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না” বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটিই করে দেখিয়েছেন।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। দেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সবার জন্য নিশ্চিত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। আর সেটি করার জন্য সৃষ্টিকর্তা হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এ শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড মোজাফফর আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার কুষ্ণপদ রায়, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।