চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন আবেদীন কলোনির বাসিন্দা দিলরুবা বেগম পীপা (৩৫) হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন স্বামী আব্দুল আলিম প্রকাশ আলম (৪৮)। এর আগে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এর বিচারক শুনানি শেষে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এসএম ফোরকান।
বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দীন।
প্রতিবেদনে গৃহবধু পীপার স্বামীর বিরুদ্ধে বাদি কতৃক আনীত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকালে পর্যাপ্ত ও প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনে এ মামলায় গ্রেপ্তার (স্বামী) আব্দুল আলিম প্রকাশ আলমকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
পীপার পরিবার সুত্র জানায়, পারিবারিক জীবনে কিছুটা টানাপোড়েন ছিল সংসারে। মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার হত্যার অভিযোগ তুললেও পুলিশের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তদন্তে ময়নাতদন্ত এবং সিসিটিভি ফুটেজের তথ্যের ভিত্তিতে এটি আত্মহত্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মামলাটির সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ, সিডিআর, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, পিএম রিপোর্ট ও সিএনজি চালক এর স্বেচ্ছায় দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, ভিকটিম দিলরুবা বেগম ব্যক্তিগত কোন বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার এসআই মুহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন, কর্ণফুলী জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) মাহমুদুল হাসান, সিএমপি বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মুকুর চাকমা কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘আমরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই তদন্ত করেছি। এটি আত্মহত্যা বলেই প্রমাণিত হয়েছে।’