পবিত্র রমজানের একমাস সিয়াম সাধনা শেষে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় সারাদেশের ন্যায় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে ঈদ উল ফিতরের প্রথম জামাত সকাল ৮ টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাতে ইমামতি করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেছেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ্’র পেশ ইমাম।
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও ৩০ রোজা শেষে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের আশায় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর এই আনন্দ আয়োজনে শামিল হয়েছেন।
ঈদের প্রথম জামাতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল ৮ টায় আরো ৮টি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরু বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)। এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে ১টি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ অথবা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দানে সকলের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।