ঈদের দিন বিকাল ৪টার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরীকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আর এ কাজে নিয়োজিত থাকবে করপোরেশনের পাঁচ হাজার শ্রমিক ও ৩৪৫টি গাড়ি।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চসিক বিগত বছরগুলোর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও জবাই হওয়া পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করা হবে। সরু রাস্তা ও গলি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টমটম, হুইল ভেরু ও বর্জ্য অপসারণ কাজ তদারকিতে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজারদের জন্য সিএনজিচালিত ট্যাক্সির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতা এবং সচেতনতার প্রয়োজন আছে। এ জন্য চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে ইমামদের মাধ্যমে প্রচার, হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে। এছাড়া পশুর বর্জ্য নালা-নর্দমাসহ যত্রতত্র না ফেলার জন্য চসিক পলিব্যাগ সরবরাহ করছে। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে কোন ওয়ার্ডে কত ট্রিপ গাড়ি দেওয়া প্রয়োজন তাও দেওয়া হবে। এ জন্য দামপাড়াস্থ চসিক কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোলরুম খোলাসহ চসিকের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা ও পরিবহন পুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে মেয়র কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে নগরবাসী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাফল্য ধরে রাখতে পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বরত শ্রমিক-সেবকদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান এবং করপোরেশনের পক্ষে ঈদের দিন দুপুরে কর্মরত পরিচ্ছন্ন শ্রমিক-সেবকদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ বর্জ্য অপসারণে তাদের মতামত, লোকবল ও গাড়ির চাহিদা ও পরিকল্পনার কথা সভায় তুলে ধরেন। ৪১টি ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা বর্জ্য অপসারণে তাদের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ওয়াকিটকি, গাড়ি, টমটম গাড়ি, বেলচা, ঝাড়ু, হুইল ব্যারো চাহিদার কথা উল্লেখ করে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, শাহেদ ইকবাল বাবু, এসরারুল হক, সচিব খালেদ মাহমুদ, অতি. প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা প্রমুখ।