অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকার জনমতের তোয়াক্কা না করে বিরোধী দলগুলোর দাবি মেনে নিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিতভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। জনমতের বিরুদ্ধে সরকারের তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা জনগণ কোনোভাবে মেনে নিবে না।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দফা অবরোধের প্রথম দিনে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নগরীর কোতোয়ালী, সদরঘাট, বাকলিয়া ও চান্দগাঁও থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নগর, থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। অবরোধের সমর্থনে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ করে নগরীতে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার গণআন্দোলনে দিশেহারা হয়ে এখন হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তারা জনতার ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু জনগণ সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে সময় থাকতে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার তাদের অপশাসন ও দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারকে হরণ করেছে। রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তারা দেশকে একটি বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।