চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন আগামী ২৮ অক্টোবর। নগরীর পতেঙ্গা পয়েন্টে এ টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে আনোয়ারা প্রান্তে কেইপিজেড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মহাসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। স্মরণকালের মহাসমাবেশকে ঘিরে এগিয়ে চলছে প্রস্তুতিও। তাই এখন যেনো টানেলকে ছাড়িয়ে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ।
মহাসমাবেশের জন্য নৌকার আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। আর এই মঞ্চকে বলা হচ্ছে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মঞ্চ। লাল-সবুজ রঙে নৌকার আদলে ৮ ফুট উচ্চতার মঞ্চটির দৈর্ঘ্য হবে ১৩০ ফুট, আর প্রস্থ ৪৮ ফুট। মঞ্চে একসাথে বসার জায়গা হবে ৩০০ জন নেতাকর্মীর। ১৪ অক্টোবর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। যা শেষ হবে ২৬ অক্টোবর। মঞ্চ তৈরিতে দৈনিক কাজ করছে ৭০ জন অভিজ্ঞ শ্রমিক। জনসভায় সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করবেন দেশের বিখ্যাত সাউন্ডমেকার কলরেডি। তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তাদের ২শ’র বেশি মাইক স্থাপন করা হবে। প্রস্তুতি আর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মঞ্চের সামনে তৈরি হচ্ছে চার স্তরের ব্যারিকেড। জনসভাস্থল আনোয়ারার কেইপিজেডের সাড়ে ৯ লাখ ঘনফুট আয়তনের মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে। জনসভায় নেতা-কর্মীদের বহন করা বাস রাখার জন্য কেইপিজেডের অব্যবহৃত চারটি মাঠ সংস্কার করে পার্কিং জোন করা হয়েছে।
এদিকে জনসভা ও টানেলের উদ্বোধন ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে বিলবোর্ড, ব্যানার ও পোস্টারে। চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জনসভাকে সামনে রেখে দলটির বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো লাগাতার প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছে। জনসভা উপলক্ষে টানেল সংযোগ সড়ক ও জনসভার আশপাশের সড়কগুলো সাজানো হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইসতিয়াক ইমন জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাফকো সেন্টারের কেইপিজেড মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। জনসভা উপলক্ষে সড়ক উন্নয়ন, যানজট নিরসন, আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আনোয়ারার সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা ওয়ান সিটি টু টাউনের দ্বারও উন্মোচন করবেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরবে। এ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে।