চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্ত¡রে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সোয়া ১০টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল চত্ত¡রে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আলোচনা সভার শুরুতে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কেক কাটে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, আজকের শিশুরা শেখ রাসেলের আদর্শ ধারণ করে বড় হয়ে উঠবে। আমার প্রত্যাশা তারাই ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ সোনার বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। শেখ রাসেল আজকে বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরেকজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক ব্যক্তি পেত। নয়মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন করে আমরা পৃথিবীতে যে গৌরব অর্জন করেছি, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ড সে গৌরবকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
তিনি আরো বলেন এমন নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না এমন আইন পাশ করা হয়েছিল। যা পৃথিবীতে আর কোথাও নজির নেই। তখন বাংলাদেশ গভীর অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে অন্ধকারকে দূরীভুত করে দেশকে আলোর অভিমুখে নিয়ে গেছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, জন্মদিন আনন্দের হলেও এ জন্মদিনে বেদনার ভারটা অনেক বেশি। কেননা শেখ রাসেলকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি ক্লাস ফোরের একজন ছাত্র ছিলেন। জীবনটাকে উপভোগ করার সময়ও পাননি। আজকে শেখ রাসেল দিবসে আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হইযে, যার যার অবস্থান থেকে সবাই একসাথে কাজ করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রায়ই জেলে থাকার কারণে শেখ রাসেলের সাথে একটা দুরত্ব তৈরি হয়। তাই যখনই জেলে যেত দেখা করার জন্য সেখান থেকে আর আসতে চাইত না। বাবাকেসহ নিয়ে আসতে চাইত। আজকের ছোট শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা এ দিবস পালন করছি। শেখ রাসেল দ্বীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দূর্জয়।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং জেলা শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরা শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত উদ্বোধনী ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মালেক’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. এন. এম ওয়াসিম ফিরোজ, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার, জেলা ইউনিট কমান্ড, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরওয়ার কামাল বক্তৃতা করেন। এসময় ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।