চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫-বি৪ এর আওতাধীন চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন পরিচালিত চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল আই ইনস্টিটিউট হিসেবে অনুমোদনের পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ৮জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১১টায়। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানা চৌধুরী জাবেদ প্রধান অতিথি থেকে উক্ত ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম.এ.লতিফ।

লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট উদ্বোধনের সার্বিক বিষয়টি তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (৬জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন নাসির উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী লায়ন ডাঃ দেবাশীষ দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান লায়ন নাজমুল হক চৌধুরী, প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, ট্রেজারার লায়ন এস জোহা চৌধুরী, একাডেমিক পরিচালক লায়ন ডাঃ প্রকাশ কুমার চৌধুরী, এসোসিয়েটস সেক্রেটারী লায়ন আশরাফুল আলম আরজু।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ৩০টি বেড নিয়ে শুরু হওয়া এই হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয় এবং বর্তমানে ১শ বেড নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ হাসপাতালে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে আসছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম এর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আই ক্যাম্প(চক্ষু শিবির), স্কুল সাইট স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম ও পারিবারিক স্বাস্থ্য পুষ্টি এবং শিক্ষা প্রকল্প এবং সিটি সেন্টারে আধুনিক মানের হাসপাতাল এই সমন্বিত কার্যক্রম এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন অন্ধত্ব বিমোচন, দূরীকরণ ও চক্ষুরোগের চিকিৎসা পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটা, বিকাল ৩টা থেকে ৬টা এবং শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন বিশেষ ব্যবস্থাধীনে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা বহিঃবিভাগ চালু রেখে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ রোগীকে সেবা দেয়া হয়। এতে দুস্থ, গরীব, দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির রোগীকে সাশ্রয়ীমূল্যে চক্ষু সংক্রান্ত সকল রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে হাসপাতালটিকে আই ইনন্সিটিউট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চট্টগ্রাম তথা দেশের চক্ষু চিকিৎসায় দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষে চালু হতে যাওয়া ইনন্সিটিউটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৮জুলাই, শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ যাত্রা শুরু হবে ইনশাল্লাহ।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল সমৃদ্ধ করে সাবস্পেশালিটি সেবা কার্যক্রম, মিডলেভেল, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট, সাবস্পেশালিটিসহ বিভিন্ন কোর্স চালু করতে ইনস্টিটিউট প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন