‘চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করুক‘ এমনটিই চাওয়া স্বামী চক্রপাণি মহারাজের। গত ২৭ আগষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি করেন।
২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করেছে দেশটির মহাকাশযান চন্দ্রযান–৩। এরই মাধ্যমে প্রথমবারের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ভারত। আর সেই ল্যান্ডিং স্পটের নাম শিবশক্তি রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নামকরণ কে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা–সমালোচনা চলছে ভারতজুড়ে। এছাড়া বিরোধী দল কংগ্রেসও মোদির শিবশক্তি পয়েন্ট ঘোষণা নিয়ে সমালোচনা করেছে।
এরই মাঝে সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপাণি মহারাজ রোববার (২৭ আগষ্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন- “আমি চাই ভারতীয় পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করুক। আর চন্দ্রযান–৩ যেখানে অবতরণ করেছে সেই শিব শক্তি পয়েন্টকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ, শিবশক্তি পয়েন্টকে আমি শিবশক্তি ধাম হিসেবেই দেখছি। হিন্দু মহাসভা এবং সন্ত মহাসভার তরফ থেকে এই মর্মে আমরা সরকারের কাছে একটি চিঠিও লিখছি। যত দ্রুত সম্ভব চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক। আমার আরও একটি প্রস্তাব আছে। চাঁদে যাতায়াত শুরু হলেই ওই শিবশক্তি পয়েন্টে আমি ভগবান শিব, মা পার্বতী এবং ভগবান গণেশের একটি মন্দির তৈরি করব“।
এমন দাবির সমর্থনে হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি লিখেন- ‘কোনো সন্ত্রাসী জিহাদি মানসিকতা নিয়ে যাতে সেখানে পৌঁছাতে না পারে, কট্টরপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিকাশ যাতে না হয় সেজন্য চাঁদকে সনাতন হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া উচিত‘।
কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি এ বিষয়ে বলেন- “চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অর্থ তার ওপর দখলদারি করা নয়। চন্দ্রপৃষ্ঠের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী আমাদের দেখে হাসবে। আমরা চাঁদের মাটি ছুঁয়েছি, অত্যন্ত খুশির খবর। আমরা সকলেই গর্ববোধ করছি। সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু না আমরা চাঁদের মালিক, না কোনো পয়েন্টের“।