কেরানীগন্জে অবৈধ ক্যামিকেল গোডাউনকে জরিমানা
কেরানীগঞ্জে নকল ইউ পি ভি সি পাইপ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল বিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাব। বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে রাত পর্যন্ত। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাব সদর-দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাজাহারুল ইসলাম।
কেরানীগঞ্জের গদার বাগের একটি নকল ইউ পি ভি সি পাইপ কারখানায় অভিযানের সময় দেখা যায়, তাদের কোন লাইসেন্স না থাকলেও তারা এই ব্যবসা করে আসছিলো। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ৭লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। অপর একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান করে তাদের ৬লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদেরও কোন বৈধ কাগজ ছিলো না। তাদের দাবি গত ৩০ বছর ধরে এইভাবে ব্যবসা করে আসছেন, কখনো কোন সমস্যা হয়নি।
কেরানীগঞ্জের গদার বাগ, আতাসুরসহ অনেক এলাকায় বহু গোডাউনে অবৈধ অনুমোদনহীনভাবে বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল মজুদ রাখা হয়েছে। যা জনবহুল এলাকার জন্য ঝুকিপূর্ণ। ওসব গোডাউনে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আমদানি করা কেমিক্যাল বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদিত গোডাউনে মজুদের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।
বিস্ফোরক অধিদপ্তর ৩১ ধরনের কেমিক্যালকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওসব কেমিক্যাল আমদানি ও মজুদের অনুমতি দিয়ে থাকে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। সেজন্য গোডাউনের নকশা, আমদানির লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপণ সনদসহ কমপক্ষে ১৫টি শর্ত পূরণ করতে হয়। কিন্তু বিস্ফোরক অ্যাক্ট-১৮৮৪ এবং সিলিন্ডার বিধিমালা-১৯৯১ তোয়াক্কা না করেই গড়ে তোলা হয়েছে বিপুলসংখ্যক কেমিক্যাল গোডাউন। অধিকাংশেরই বৈধ কাগজপত্র ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নেই। অথচ বিস্ফোরক অধিদপ্তর, জেলাপ্রশাসক ও পুলিশের সামনেই গোডাউনে বিভিন্ন কেমিক্যাল মজুদ করা হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীরা প্রভাশালী হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এ ছাড়া এরা প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরেই জনবহুল এলাকায় বিষ্ফোরক ক্যামিকেল মজুদ করে মানুষের জীবণ ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে। এ মাসের মাঝামাঝি গদারবাগে একটি প্লাস্টিক দানা ও ক্যামিকেলের গোডাউনে অগ্নীকান্ডে একই পরিবারের পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই গোডাউনের মালিক ছিলেন পুরান ঢাকার দানার সম্রাট হিসেবে পরিচিত টুলটুল হাজী।