পুতিন কখনই বিশ্বাসঘাতকদের ছেড়ে দেয়না
রাশিয়ায় ২৫ হাজার ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একটি বিমান দূর্গটনায় নিহত হন। এ বিষয়টি রাশিয়ার ভেতরে এবং বাইরে নানা সন্দেহ তৈরি করেছে। কথিত আছে পুতিন কখনই বিশ্বাসগাতকদের ক্ষমা করেনা। দুর্ঘটনাটি যেন তারই ইঙ্গিত।
গত বুধবার ২৩ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে প্রায় একই সময় যাচ্ছিল এমব্রায়ার ১৩৫ মডেলের প্রিগোজিনের মালিকানাধীন দু‘টি বিমান। তার একটি বিমান মস্কো এলাকায় নিরাপদে অবতরন করলেও, অপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত বিমানটিতে ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিজেই। ঘটনাটির বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও, মস্কোে এখনও অনেক কিছুই জনসম্মুখে আনেনি।
ওয়াগনার সম্পর্কিত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল দাবি করেছে যে প্রিগোজিন যে বিমানটিতে ছিলেন তার উপর রাশিয়ার তিভোর আব্লাস্তে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করেছিল এবং রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানটিকে গুলি করে বিধ্বস্ত করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে প্রিগোজিন বড় চ্যলেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। কথিত আছে পুতিন কখনই বিশ্বাসগাতকদের ছেরে দেয়না। কারণ রাশিয়ান সিক্রেট সার্ভিস এর আগেও প্রেসিডেন্টের প্রতিপক্ষ, সমালোচক বা ভিন্নমত অবলম্বনকারীদের পুরোপুরি এভাবে মুছে দিয়েছে। ঘটনাটি যেন সেই দিকেই সবার সন্দেহের তীর ছুরে দিচ্ছে।
বিমানটিতে সাত জন যাত্রী ও তিন জন ক্র ছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আরোহী ১০ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালে ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র কমান্ডার দিমিত্রি উৎকিনও ওই বিমানের যাত্রীদের তালিকায় ছিলেন।